বয়স মাত্র আট বছর। এরই মধ্যে সবার দৃষ্টি কেড়ে নিয়েছে ব্রাজিলিয়ান এক বালক। নাম কুয়ান বাসিলে। এরই মধ্যে ফুটবল পায়ে তার স্কিল দেখে যারপরনাই বিস্মিত সারা ফুটবল দুনিয়া। মাত্র আট বছর বয়সেই ব্রাজিলিয়ান এই বিস্ময় বালকের পিছু ছুটতে শুরু করেছে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো।
২০১৯ সালে সাও পাওলো ফুটসাল চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছিল বিস্ময় বালকটি। তখন তার বয়স ছিল আরও কম। বল পায়ে কি ড্রিবলিং আর বডি ডজ। তার স্কিল দেখে বিমোহিত পুরো ফুটবল দুনিয়া। এ কারণেই সান্তোসের অনুর্ধ্ব-৯ দলের এই ফুটবলারের জন্য চুক্তি করতে সাও পাওলো পৌঁছে গেছে বিশ্বখ্যাত ক্রীড়া সামগ্রী প্রস্তুতকারক কোম্পানি নাইকি।
মাত্র আট বছর বয়সেই কুয়ান বাসিলের সঙ্গে চুক্তি করে ফেলেছে নাইকি। চুক্তিটি তিন বছরের জন্য। এরপর দুই পক্ষ চুক্তিটি রিভিউ করবে। সেখানে যদি দু’পক্ষ চায়, তাহলে আরও দুই বছর বাড়ানো হবে।
মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে বিশ্বের সেরা দুই ফুটবলার লিওনেল মেসি এবং নেইমার ডি সান্তোস জুনিয়রকেও ছাড়িয়ে গেলেন কুয়ান বাসিলে। লিওনেল মেসি এ ধরনের চুক্তি প্রথম করেছিলেন ১৫ বছর বয়সে। নেইমার করেছিলেন ১৩ বছর বয়সে। ব্রাজিলিয়ান আরেক তারকা রদ্রিগো এ ধরনের চুক্তি করেছিলেন ১১ বছর বয়সে। যেটা ছিল এতদিন রেকর্ড।
কুয়ানি বাসিলে এবং নাইকির মধ্যে মধ্যস্থতা করেছে যে কোম্পানিটি, সেই মেঙ্গোনি স্পোর্টস লিখেছে, ‘নাইকির সঙ্গে চুক্তিতে স্বাক্ষর করে ব্রাজিলিয়ান বালক কুয়ান বাসিলে আজ বিশ্ব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। সে একজন খাঁটি প্রতিভা। তার হৃদয়টাই যেন একটা ফুটবল। আত্মা এবং ডিএনএর মধ্যে মিশে আছে ফুটবল।’
কুয়ান বাসিলের বাবা আন্দ্রে রিকার্ডো বারবোসা আন্দ্রেজিনহোও ছিলেন একজন ফুটবলার। ৯০’এর দশকে করিন্থিয়ান্সের একজন নাকমার স্ট্রাইকার ছিলেন তিনি। আন্দ্রেজিনহো তার ছেলের সম্পর্কে বলেন, ‘কুয়ান এমন একজন খেলোয়াড়, যিনি সবকিছুই জিততে চান। ফুটবলে তার অসাধারণ টেকনিক্যাল সামর্থ্য রয়েছে।’