ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নিতে হবে
Published : Saturday, 3 April, 2021 at 12:00 AM
করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নিতে হবেকরোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। বাড়ছে আক্রান্ত এলাকার সংখ্যা। মঙ্গলবার দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ। এক দিনে আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ৩৫৮ জন। সাত মাসের মধ্যে করোনায় দৈনিক মৃতের সংখ্যাও ছিল সর্বোচ্চ ৫২ জন। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, সংক্রমণের এই গতি রোধ করা না গেলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। এরই মধ্যে হাসপাতালগুলো রোগীতে ভরে গেছে। অথচ মানুষের সচেতনতার অভাব চোখে পড়ার মতো। হাট-বাজারগুলোতে দেখা যায়, বেশির ভাগ মানুষই মাস্ক পরেন না। গণপরিবহনে ওঠার সময় যাত্রীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিতে গেলেও অনেকে বিরক্ত হন। আসন খালি থাকা সত্ত্বেও অনেকে পাশাপাশি আসনে বসেন। বইমেলায় দেখা গেছে, গেট দিয়ে ঢোকার সময় মানুষের মুখে মাস্ক থাকলেও ভেতরে ঢুকেই অনেকে মাস্ক খুলে ফেলেন। এক জায়গায় গাদাগাদি করে বসে আড্ডা দেন। এ অবস্থায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের দ্বিতীয় কার্যকর উপায় ছিল টিকা প্রদানের হার বাড়ানো। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে উল্টোটা। টিকার নতুন চালান না এলে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া ৫ এপ্রিলের পর বন্ধ হয়ে যেতে পারে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হবে ৮ এপ্রিল। কিন্তু এ পর্যন্ত যতসংখ্যক মানুষ প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন, তাঁদের তুলনায় বুধবার বিকেল পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের টিকার মজুদ কম ছিল পাঁচ লাখ ৪০ হাজার। ১০ লাখের বেশি মানুষ নিবন্ধন করেও টিকা নিতে পারছেন না। টিকার পরের চালান কবে আসবে এবং সেই চালানে কতসংখ্যক টিকা আসবে তা-ও জানেন না সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এমন সংকটের আশঙ্কা করে গণমাধ্যমে অন্যান্য উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের তাগাদা দেওয়া হলেও সে েেত্র কার্যত কোনো অগ্রগতি নেই। বেসরকারিভাবে টিকা সংগ্রহের অনুমতি চেয়েছিল বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। তাদেরও এখন পর্যন্ত অনুমতি দেওয়া হয়নি। ফলে অতিরিক্ত সংক্রমণ ঠেকাতে টিকার প্রয়োগ বাড়ানোর বিষয়টি প্রশ্নের মুখোমুখি চলে এসেছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে সরকার গত সোমবার ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে। কিন্তু সেই নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে মানা হচ্ছে না। গণপরিবহন, হাট-বাজার, বিপণিবিতান, মেলা বা জনসমাগমের স্থানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানানোর উদ্যোগও খুব একটা দেখা যায় না। গতকাল থেকে দুই সপ্তাহের জন্য পর্যটন স্পটগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপের সব দেশ এবং অন্য ১২টি দেশ থেকে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এগুলো অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। অতিরিক্ত ঝুঁকিপ্রবণ এলাকাগুলোতে প্রয়োজনে লকডাউনের চিন্তা করতে হবে। করোনা পরীার ব্যবস্থা আরো বাড়াতে হবে। প্রতিদিন বহু মানুষ দীর্ঘ লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপো করেও পরীা করাতে পারছেন না। রোগীর সংস্রবে আসা সবাইকে বাধ্যতামূলক পরীার আওতায় আনতে হবে। কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের সুযোগ বাড়াতে হবে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সর্বোচ্চ শক্তি নিয়োগ করতে হবে।