ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
বোকো হারামের শীর্ষ নেতার আত্মহত্যা!
Published : Monday, 7 June, 2021 at 12:52 PM, Update: 07.06.2021 12:54:11 PM
বোকো হারামের শীর্ষ নেতার আত্মহত্যা! নাইজেরিয়ার জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারামের শীর্ষ নেতা আবু বকর শেকাও আত্মহত্যা করেছেন। এক অডিও বার্তায় এই দাবি করেছে প্রতিদ্বন্দ্বী একটি জঙ্গিগোষ্ঠী।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, ইসলামিক স্টেট ওয়েস্ট আফ্রিকা প্রভিন্সের (আইএসডব্লিউএপি) একটি অডিও গণমাধ্যমের হাতে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, বোকো হারাম ও আইএসডব্লিউিএপির মধ্যে সংঘর্ষের পর শেকাও একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মহত্যা করেন।  গত মাসে এ ঘটনা ঘটে।

বোকো হারাম কিংবা নাইজেরিয়ার সরকার এখন পর্যন্ত আবু বকরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।

অডিওটিতে যা আছে
অডিওতে যে কণ্ঠ শোনা গেছে তা আইএসডব্লিউএপি নেতা আবু মুসাব আল বার্নাবীর বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, শেকাও তাৎক্ষণিকভাবে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আইএসডব্লিউএপি যোদ্ধারা তাকে গ্রেফতার করে। এরপর তাকে ক্ষমা প্রার্থনা এবং আমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, শেকাও পৃথিবীতে অপমানিত হওয়ার চেয়ে পরকালে অপমানিত হওয়াকে বেছে নিয়েছেন।

এর আগে গতমাসে শেকাওয়ের মৃত্যুর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছিল নাইজেরিয়ার সেনাবাহিনী।
দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এক সাংবাদিক বলেন, আইএসডব্লিউএপি যখন উত্তরপূর্ব নাইজেরিয়ার সামবিসা বনে বোকো হারামের অবস্থানে হামলা চালায় তখনই শেকাও মারা গেছেন। যদিও এর আগেও বহুবার শেকাওর মৃত্যুর খবর ছড়িয়েছিল।

কে এই আবু বকর শেকাও
পুলিশ হেফাজতে ২০০৯ সালে বোকো হারামের প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যু হলে আবু বকর শেকাও এ জঙ্গিগোষ্ঠীর হাল ধরেন। শেকাওয়ের নেতৃত্বে বোকো হারাম ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে।  উত্তরপূর্ব নাইজেরিয়াজুড়ে বোমা হামলা, অপহরণ এবং জেল ভেঙে ফেলাসহ নানা জঙ্গি তৎপরতা চালায় এ জঙ্গিগোষ্ঠী।
এরপর ২০১৪ সাল থেকে শরীয়া আইন অনুযায়ী ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য শহরগুলোতে তৎপরতা বাড়ায় বোকো হারাম।
শেকাওয়ের কাছে মানুষ হত্যা যেন ছিল ডালভাত এবং তিনি এটা উপভোগ করতেন।
২০১২ সালের এক ভিডিওতে তিনি বলেছিলেন, আমি মানুষ হত্যা করা খুবই উপভোগ করি, যেমনটা উপভোগ করি মুরগি এবং মেষ জবাইয়ের ক্ষেত্রে।
শেকাও নেতৃত্ব নেওয়ার পর থেকে ৩০ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে বোকো হারাম।  এ জঙ্গিগোষ্ঠীর কারণে ২০ লাখের বেশি মানুষকে ছাড়তে হয়েছে ঘর।
২০১৪ সালে শতাধিক ছাত্রীকে একটি স্কুল থেকে অপহরণের পর বোকো হারাম বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজরে আসে। এরপর শেকাওকে ‘গ্লোবাল টেরোরিস্ট’ অভিহিত করে তাকে হত্যার জন্য ৭ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র।