শেষ ওভারে জয়ের জন্য ওল্ড ডিওএইচএসের প্রয়োজন ছিল ৭ রান। তখনও হাতে ৮ উইকেট। ধুম-ধারাক্কা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন লক্ষ্য কঠিন কিছু নয়। কিন্তু ব্রাদার্সের পেসার সুজন হাওলাদার সেই সুযোগ দিলেন না ওল্ড ডিওএইচএসকে। ওই ওভারে মাত্র চার রান খরচ করে রুখে দিয়েছেন প্রতিপক্ষকে। আর তাতে ২ রানের জয় পেয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ব্রাদার্স ইউনিয়ন। মাইশুকুর রহমানের ৪৮ বলে ৬৮ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে ব্রাদার্স ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে করে ১৩৯ রান। ৪ চার ও ৪ ছক্কায় মাইশুকুর নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন।
১৩৮ রানের সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে ওল্ড ডিওএইচএস শুরুটা দুর্দান্তই করেছিল। ৯ ওভারে দুই ওপেনার মিলে ৫৭ রান যোগ করেন। রাকিন ৩১ বলে ৩৩ রান করে আউট হলেও আনিসুল ইসলাম হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন। ৫০ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় আনিসুল ৬৫ রানের ইনিংসটি খেলেছেন।
রাকিন আউট হওয়ার পর ক্রিজে নামেন যুব বিশ্বকাপজীয় দলের সদস্য মাহমুদুল হাসান জয়। শেষ ওভারে দলের জয় নিশ্চিত করতে যখন ৭ রান প্রয়োজন, তখন দ্বিতীয় বলে দুই রান নিতে গিয়ে রানআউট হন জয়। আর তাতে ৩৩ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলা এই তরুণকে থামতে হয় তখনই। শেষ চার বলে রায়হান রহমান ও প্রিতম কুমার দলের জয় নিশ্চিত করতে পারেননি। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানে থেমে যায় ওল্ড ডিওএইচএসের ইনিংস।