ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের পশ্চিম প্রান্তের দেশ কিউবার ওপর নতুন করে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিউবান পুলিশ এবং পুলিশের শীর্ষস্থানীয় দুই কর্মকর্তার ওপর শুক্রবার নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয় মার্কিন প্রশাসন। জুলাইয়ের গোড়ার দিকে কিউবার সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ব্যাপক দমনপীড়নের অভিযোগে দেশটির বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে ওয়াশিংটন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
নিষেধাজ্ঞার শিকার পুলিশের দুই কর্মকর্তা হচ্ছেন পুলিশ বাহিনীর পরিচালক অস্কার ক্যালেজাস ভালকারসে এবং উপ-পরিচালক ইডি সিয়েরা আরিয়াস।
এমন সময়ে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো যার মাত্র সপ্তাহখানেক আগেই কিউবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও তার মেয়াদের একেবারে শেষ দিকে কিউবার পুলিশ বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন।
করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থতা এবং অর্থনৈতিক সংকট বেড়ে যাওয়ায় সরকারের প্রতি কিউবার জনগণের ক্ষোভ বাড়ছিল। এক পর্যায়ে জুলাইয়ের গোড়ার দিকে রাস্তায় নেমে আসে তারা। ১৯৯৪ সালের পর এবারই সবচেয়ে বড় ধরনের সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মুখে পড়েছে কিউবা। শুধু রাজধানী হাভানা নয়, পুরো দেশজুড়ে রাজপথে নামে হাজার হাজার মানুষ। এসব বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে ব্যাপক দমনপীড়ন চালায় সরকারি বাহিনী। এ নিয়ে নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনার মুখে পড়ে হাভানা।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পক্ষ থেকেও আটক বিক্ষোভকারীদের মুক্তি দাবি করা হয়েছে। ইইউ-এর শীর্ষ কূটনীতিক জোসেফ বোরেল বলেন, ‘কিউবা সরকারকে আমরা সার্বজনীন মানবাধিকার কনভেনশনে অন্তর্ভুক্ত মানবাধিকার ও স্বাধীনতার প্রতি সম্মান জানানোর আহ্বান জানাই।’
কিউবা সরকার অবশ্য সরকারবিরোধী ওই বিক্ষোভের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট মিগেল দিয়াজ কানেল বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সাজানো বিভিন্ন প্রচারণায় অনেক বিক্ষোভকারীকে বিভ্রান্ত করছে।