বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের হামছাপুর গ্রামে কামরুল ইসলাম নামের (১৫) এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে ওই গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কামরুল এবং একই গ্রামের কয়েকজন কিশোরের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এই বাকবিতণ্ডতাকে কেন্দ্র করে কামরুলের পরিবারের লোকজন এবং ওই কিশোরের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
গ্রামের লোকজন দুই পক্ষকে শান্ত করে ঘটনাটি মীমাংসার উদ্যোগ নেন।
কিন্তু ঘটনার পর থেকে কামরুলকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর রাত ৯টার দিকে গ্রামের ফজলু মিয়ার পুকুরে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। খবর পেয়ে বালাগঞ্জ থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকালের কামরুলের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়না তদন্তের জন্য রাতেই লাশ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে, কামরুলের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের সদস্যরা ওই কিশোরদের দায়ী করছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কামরুলের বাবা নেই আর মা সৌদি আরবে থাকেন। যাদের সঙ্গে মারামারি হয়েছিল লাশ উদ্ধারের পর ওই কিশোররা গ্রাম থেকে পালিয়েছেন।