ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ইসলাম প্রচারে বঙ্গবন্ধুর অবদান ইতিহাসে চিরদিন লেখা থাকবে--ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এমপি
Published : Monday, 30 August, 2021 at 12:00 AM
মো. হাবিবুর রহমান, মুরাদনগর ।।
এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আলহাজ¦ ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন দেশে ইসলামের প্রকৃত পরিচর্যাকারী। পাকিস্তান আমলে হজ¦ যাত্রীদের জন্য কোনো সরকারি অনুদানের ব্যবস্থা ছিল না। বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে প্রথম হজযাত্রীদের জন্য সরকারি তহবিল থেকে অনুদানের ব্যবস্থা করেন এবং হজ¦ ভ্রমণ কর বাতিল করেন। ইসলামের প্রচার ও প্রসারে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা ইতিহাসে চিরদিন লেখা থাকবে। বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছর এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলে ইসলামের খেদমতে যে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, পৃথিবীতে বিরল হয়ে থাকবে।
আলহাজ¦ ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এমপি রোববার দুপুরে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের ভূবনঘর এলাকায় উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কালে এসব কথা বলেন। এ সময় দোয়া পরিচালনা করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুবকর মোহাম্মদ হোসাইন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ তমাল, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাইনউদ্দিন আহম্মেদ সোহাগ, থানার ওসি সাদেকুর রহমান, জেলা পরিষদ সদস্য নজরুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সদস্য আরিফুল ইসলাম শাহেদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক সোহরাব হোসেন বেলাল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম তুহিন প্রমুখ।
উক্ত মসজিদে নারী ও পুরুষের জন্য অজু ও নামাজের পৃথক কক্ষ, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, হেফজখানা, গণশিক্ষা কেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র, পাঠাগার, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, জানাজার ব্যবস্থা, হজযাত্রীদের নিবন্ধন, অটিজম কর্নার ও ই-কর্নার থাকবে। এ ছাড়া ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা রাখা হবে। আর বিশেষ সুবিধা হিসেবে থাকবে বিদেশি পর্যটকদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা। মসজিদে একসঙ্গে ১ হাজার ২০০ মানুষ জামাতে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
আলহাজ¦ ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এমপি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের উন্নয়ন করে মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় কর্মকান্ডকে যথাযোগ্য মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। স্বাধীন দেশের ধর্মীয় উগ্রবাদ নির্মূলের সাফল্যও বর্তমান সরকারের বড় অবদান। বাংলাদেশকে সব ধর্মের সব মানুষের জন্য শান্তির দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধু ছিলেন সদা সচেষ্ট। বঙ্গবন্ধুর স্বল্পকালীন শাসনামলে দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণার্থে গৃহীত প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি ও মূল্যবোধের অনুগামী। বিশ্ব ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তুরাগ নদের তীরবর্তী জায়গাটি প্রদান করেন। সেখানেই আজ পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমা করে আসছে তাবলিগ জামাত। তাবলিগ জামাতের মারকাজ বা কেন্দ্র নামে পরিচিত কাকরাইল মসজিদের সম্প্রসারণ করে রমনা পার্কের অনেকখানি জায়গার প্রয়োজন যখন দেখা দেয়, তখন রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধু নির্দ্বিধায় কাকরাইল মসজিদকে জমি দেওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ থেকে করে দেন। পিতার হাত ধরেই ইসলাম প্রচার ও প্রসারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। সে কারণেই সারা দেশে একসঙ্গে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের তিনি উদ্যোগ গ্রহণ করেন।