নিউইর্য়াকের শেখ রাসেল ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা.ফেরদৌস খন্দকারের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন পালিত হয়েছে। এ উপলেক্ষ বিকাল ৫ টায় দেবিদ্বার পোস্ট অফিস সংলগ্নে পাশে আছি কোভিট-১৯ কন্ট্রোল রুমে আয়োজিত আলোচনা সভা, মিলাদ-দোয়া মাহফিল ও কেক কাট অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় অংশ নেন, আওয়ামীলীগ নেতা সুজিত পোদ্দার, মো. মাহবুবুর রহমান মুন্সি। স্বেচ্ছাসেবী মোসা. নুরুন্নাহারের সভাপতিত্বে এসময় বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। এ নারকীয় হত্যাকাণ্ড থেকে সেদিনের অবুঝ শিশু রাসেলও রেহাই পাননি। তাই নরপশুরা নিষ্পাপ শিশু ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শেখ রাসেলকেও হত্যা করে। তারা আরও বলেন, দেশের শিশু-কিশোর, তরুণ প্রজন্মের কাছে শেখ রাসেল এক ভালোবাসার নাম। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেন, রাসেল যদি বেঁচে থাকত, তাহলে হয়তো একজন মহানুভব, দূরদর্শী ও আদর্শ নেতা আজ আমরা পেতাম, যাকে নিয়ে দেশ ও জাতি গর্ব করতে পারত। তাঁরা আরও বলেন, অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, অধিকার বঞ্চিত শিশুদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে গ্রাম-গঞ্জ-শহর তথা বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ জনপদ-লোকালয়ে শেখ রাসেল আজ এক মানবিক সত্তায় পরিণত হয়েছেন। মানবিক চেতনা সম্পন্ন সকল মানুষ শেখ রাসেলের মর্মান্তিক বিয়োগ বেদনাকে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলার প্রতিটি শিশু-কিশোর তরুণের মুখে হাসি ফোঁটাতে আজ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।