ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ঘর থেকে সেজেগুঁজে বের হওয়ার পরদিন মিললো যুবকের লাশ
Published : Tuesday, 19 October, 2021 at 12:00 AM, Update: 19.10.2021 1:12:44 AM
ঘর থেকে সেজেগুঁজে বের হওয়ার পরদিন মিললো যুবকের লাশএবিএম আতিকুর রহমান বাশার ঃ
ঘর থেকে সেজেগুঁজে বেড়িয়ে গেল রিক্সাচালক ইউনুছ(৩৯) পরদিন সকালে তার লাশ পেল নির্জণ বিলের পাশের খালপাড়ে।
ঘটনাটি ঘটে দেবীদ্বার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের তুলাগাঁও গ্রামের জাফরাবাদ- মনিপুর পাড়ার নির্জণ বিলের পাশের খালে। নিহত ইউনুছ উপজেলার তুলাগাঁও গ্রামের হারেস মিয়ার পুত্র, পেশায় তিনি একজন অটো রিক্সা চালক ছিলেন।
নিহতের স্ত্রী অহিদা আক্তার জানান, গতকাল রোববার সকালে বাজার করে দিয়ে যান, দুপুরে এসে গোসল করে খাবার খেয়ে একটু ঘুমান, ঘুম থেকে উঠে প্যান্ট-শার্ট এবং নতুন জুতা পড়ে পরিপাটি হয়ে বিকেলে বেড়িয়ে যায়। আজ (সোমবার) লোকজনের মধ্যমে জানতে পাড়ি বাড়ির অদুরে জাফরাবাদ- মনিপুর পাড়ার নির্জণ বিলের পাশের খালে তার মরদেহ পড়ে আছে। এর আগে তার সন্ধ্যানে অনেক জায়গায় খোঁজখবর নিয়েছি, ফোন করেছি, তার ফোনটিও বন্ধ পেয়েছিলাম।
নিহতের চাচা জুলফু মিয়া(৭০) জানান, প্রায় ৭০/৭৫ বছর পূর্বে আমরা পাহার থেকে এসে এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছি। ইউনুছ খুব ভালো ছেলে ছিল, তার কোন শত্রু থাকার কথা নয়, তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে। ছেলে হৃদয়(১৭) কুমিল্লা শহরে মাছের আরতে চাকরি করে এবং দুই মেয়ে ইতি(১৯) ও বিথি(৮) বাড়িতে থাকে। তবে গতকাল সে বাড়ি থেকে যাওয়ার পথে সেজেগুঁজে বেড়িয়েছিল, শোনেছি তার অটোরিক্সাটিও বিক্রি করে ফেলেছে। তার সাথে চলা ফেরা করা কয়েকজন বন্ধু ভালো লোক ছিলনা। অটোরিক্সা বিক্রয়ের টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের কারনে কেউ তাকে হত্যা করেছে কিনা তাও বলতে পারছিনা।
সংবাদ পেয়ে দেবীদ্বার- ব্রাহ্মণপাড়া সার্কেল এ,এস,পি আমিরুললাহ, দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি সার্বিক) মোঃ আরিফুর রহমান, দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) ছমিউদ্দিন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহরাবের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যান।
সোমবার বিকেল সোয়া ৪টায় ঘটনাস্থল থেকে দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ আরিফুর রহমান জানান, আমরা এখনো ঘটনাস্থলে রয়েছি। মৃত্যুর ঘটনাটি রহস্যজনক। নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি, তার অটোরিক্সা বিক্রয়ের সত্যতাও খুঁজে দেখা হচ্ছে, সেই রিক্সা বিক্রয়ের টাকা আত্মসাতের কারনে না অন্য কোন কারনে তা খুঁজে দেখা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে থানায় পাঠিয়ে দিয়েছি। রাতে মামলা হতে পারে।