সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশকে সর্বশেষ ফাইনালে উঠিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন কোচ দিয়েগো আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানি। ২০০৫ সালে পাকিস্তানের করাচিতে সেই টুর্নামেন্টের ফাইনালে বাংলাদেশ ২-০ গোলে হেরেছিল ভারতের কাছে। এরপর আর সাফের ফাইনালে পা রাখা হয়নি লাল-সবুজ জার্সিধারীদের।
সেই ক্রুসিয়ানি আবার আসছেন বাংলাদেশে। তবে জাতীয় দলের নয়, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের দায়িত্ব নিয়ে। সব ঠিকঠাক, ভিসা পেলেই বাংলাদেশে আসবেন এই আর্জেন্টাইন।
বাংলাদেশের ক্লাব দলের দায়িত্ব অবশ্য প্রথম নয় ক্রুসিয়ানির জন্য। জাতীয় দলের পর তিনি ২০০৭ সালে আবাহনীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন। এরপর দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালদ্বীপের কোচ ছিলেন দেড় বছরের মতো।
মঙ্গলবার ক্রুসিয়ানি জানালেন আবার তার বাংলাদেশের কারণ, ‘আমি সবসময়ই চেয়েছি বাংলাদেশের ফুটবলে কাজ করতে। এরিয়েল কোলম্যান (আর্জেন্টাইন ট্রেনার) আমাকে বলেছেন, বাংলাদেশের লিগ এখন আগের চেয়ে অনেক উন্নত এবং অনেক আকর্ষণীয়। ১৫ বছর আগের চেয়ে লিগ বেশি পেশাদার। যে কারণে, আবার বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত আমার। ভিসার চেষ্টা চলছে, পাসপোর্ট হাতে পেলেই বাংলাদেশ যাবো’- বলেছেন ক্রুসিয়ানি।
এরিয়েল কোলম্যান ২০০৫ সালে ক্রসিয়ানির সঙ্গে জাতীয় দলে কাজ করেছেন। পরে ব্রাজিলিয়ান এডসন সিলভা ডিডোর সঙ্গেও কাজ করেছেন। বেশ কয়েকবছর ধরে কাজ করছেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে। এবারও তিনি ক্লাবটিতে ফিরছেন। এ সপ্তাহেই কোলম্যানের ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। তার কাছেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের খুঁটিনাটি জেনেছেন ক্রুসিয়ানি।
সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার নাসির উদ্দিন চৌধুরী আশা করছেন ২৪ বা ২৫ অক্টোবর ক্রুসিয়ানি একজন ট্রেনারসহ ঢাকায় চলে আসবেন। ‘আমরা এবার স্থানীয় কোন কোচ রাখছি না। ক্রুসিয়ানি ও তার দেশি ট্রেনারই দল চালাবেন। প্রয়োজন হলে ক্রুসিয়ানির পছন্দমতো বিদেশি একজন সহকারী নিয়ে আসবো’- বলছিলেন নাসির উদ্দিন চৌধুরী।
সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব সম্পর্কে তেমন ধারণা ইেন ক্রুসিয়ানির। ‘আসলে ক্লাবটি সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না। তবে খোঁজ নিয়েছি দলটির নাকি ভাল করার ইচ্ছা আছে। এটাও জেনেছি জাতীয় দলের অধিনায়ক এই ক্লাবে খেলে। তবে কিছু না জানলেও আমার জন্য কাজ করা কঠিন হবে না। ২০০৫ সালে যেমন হয়েছিল। বাংলাদেশের ফুটবল সম্পর্কে ধারণা ছিল না। তারপরও ভালভাবেই কাজ করেছিলাম’-যোগ করলেন ক্রুসিয়ানি।