স্কুল শিক্ষার্থীদের খুব শিগগিরই করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এ কথা জানান। রাজধানীর মহাখালীতে শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে এ আলোচনা সভা হয়।
অনুষ্ঠানে জাহিদ মালেক বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরির কাজ করছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও টিকা দিতে প্রস্তুত।’
তিনি বলেন, ‘আমরা অপেক্ষায় আছি তালিকাটা পাওয়ার। সেই তালিকা হাতে পেলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। আমাদের টিকা আছে, লোকও আছে, ব্যবস্থাও আছে। খুব তাড়াতাড়ি আমরা সেই কাজটি শুরু করতে পারবো বলে আশা করি।’
গত ১৪ অক্টোবর মানিকগঞ্জের কয়েকটি স্কুলের ১২০ জন শিক্ষার্থীকে ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। তাদের ১০ থেকে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। সেদিন জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন, পর্যবেক্ষণ শেষে সারাদেশে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।
শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. ফারুক আহমেদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. লোকমান হোসেন মিঞা, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, বিএমএ’র সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও বিএমএ’র মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী এ সময় বক্তব্য রাখেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী অভিযোগ করেন, ‘বর্তমান সরকারকে অস্থিতিশীল করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির ভাঙা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর হামলা হচ্ছে। শেখ হাসিনার সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য এ হামলা। পতন ঘটানোর চেষ্টা। মন্দির ভাঙা বড় উদ্দেশ্য না, বড় উদ্দেশ্য উন্নয়ন, শান্তি বিনষ্ট করা। শান্তি বিনষ্ট হলেই তো উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যাবে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে দারিদ্র বিমোচন এবং ক্ষুধা-অসুখের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে। পাশাপাশি যারা অশান্তি তৈরি করছে তাদের বিরুদ্ধেও। যেমন যুদ্ধ আমরা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে করে যাচ্ছি। সন্ত্রাসী, যারা দেশের শান্তি চায় না, তাদের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ চলবে।’