একবিংশ শতাব্দীতে এসে প্রযুক্তি নির্ভর দুনিয়া। এক মুহূর্তও আমাদের চলে না স্মার্টফোন, ইন্টারনেট ছাড়া। সিম কোম্পানিগুলোর লোভনীয় সব ইন্টারনেট অফার ছাড়াও সবাই বাসায় লাগামহীন ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য বাড়িতে ওয়াইফাই ব্যবহার করেন। তাতেও বাধে বিপত্তি। গতি কম থাকার কারণে জরুরি কাজ সাড়তে অনেক সময়ই সমস্যায় পড়তে হয়।
বর্তমানে অনলাইনে ক্লাস, মিটিং কিংবা অফিসের নানা কাজ সেরে নেওয়া যায় ঘরে বসেই। কিন্তু ইন্টারনেটের গতি কম থাকার কারণে প্রায়ই সমস্যায় পরছেন। বারবার রাউটার চেঞ্জ করেও কাজে দিচ্ছে না। আসলে ওয়াইফাইয়ের গতি কমে যাওয়ার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য এবং অজানা কারণ হচ্ছে রাউটার সঠিক স্থানে না রাখা। অনেকেই এ কথা জানেন না, এমনকি মানতেও চান না।
আপনার ঘরের রাউটারটি কোথায় রাখা একটু খেয়াল করুন তো। নিশ্চয় ঘরের যে পাশ দিয়ে ইন্টারনেট সংযোগের তার এসেছে তারই আশেপাশে কোথাও হবে। কিংবা যে জায়গাটি কম ব্যবহৃত হয় এমন জায়গায়ই রেখেছেন। মূলত সঠিক স্থানে না রাখাও ইন্টারনেটের গতি কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ।
মূলত রাউটার সব দিকেই সিগন্যাল পাঠিয়ে থাকে। আপনি যদি দক্ষিণ দিকের ঘরটার এক কোনায় রাখেন, তবে ওয়্যারলেস কভারেজের প্রায় অর্ধেকটা বাড়ির বাইরেই থেকে গেল। তবে পুরো বাড়িতে সমান হারে কভারেজ চান, তাহলে মাঝামাঝি কোথাও রাখুন। তবে নির্দিষ্ট কোনো ঘরে প্রয়োজন হলে রাখুন। আর সে কাজটি ইন্টারনেটের সংযোগ নেওয়ার সময়েই করা ভালো। কারণ পর্যাপ্ত লম্বা তার থাকতে হবে। যেখানে রাউটার রাখবেন সেটির আশপাশে পাওয়ার আউটলেটও থাকতে হবে।
সেই সঙ্গে একটু উঁচু কোথাও রাখার চেষ্টা করুন। রাউটার থেকে নিচের দিকেও সিগন্যাল আসে। দেয়ালের সঙ্গে ছাদের কাছাকাছি লাগাতে পারেন। মাইক্রোওয়েভ বা ইলেকট্রিক জিনিসপত্র থেকে দূরে রাখুন। রাউটারের অ্যানটেনাগুলো বিপরীতমুখী করে রাখুন, ওপর-নিচ করে দিন। যেন সব দিকে সিগন্যাল ছড়িয়ে যেতে পারে।