ব্রিটিশ সাময়িকী ভোগকে গত জুনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দু’জন মানুষের সম্পর্কের জন্য বিয়ের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন মালালা পাকিস্তানের শিক্ষা ও নারী অধিকার কর্মী মালালা ইউসুফজাই। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘আমি এখনো বুঝি না মানুষ কেন বিয়ে করে? আপনার জীবনে যদি একজন মানুষের দরকার হয়, তাহলে কেন আপনাকে বিয়ের কাগজে স্বাক্ষর করতে হবে? কেন শুধু এটি এক ধরনের পার্টনারশিপ হতে পারে না?’
মালালার ওই সাক্ষাৎকার নিয়ে আবারও আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে তার বিয়ের পর। তবে সমালোচনার জবাবে পাকিস্তানের এই নারী অধিকার কর্মী বিবিসির অ্যান্ড্রু মার শোতে অংশ নিয়ে বলেছেন, বিয়ে নিয়ে অতীতে তার উদ্বেগ ছিল।
২৪ বছর বয়সী এই পাকিস্তানি মানবাধিকার কর্মী বলেছেন, বিয়ের বিষয়ে তার উদ্বেগ সত্য ছিল। কারণ বিশ্বজুড়ে অনেক মেয়ের বাল্যবিবাহ এবং বিচ্ছেদের খবর দেখা যায়... এবং বিয়েতে ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়।
এখন তার মূল্যবোধ বুঝতে পারার মতো একজনকে বিয়ে করতে পেরে তিনি নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করছেন। মালালা বলেছেন, ‘আমি একজন ভাগ্যবতী। কারণ, আমি এমন একজনকে পেয়েছি; যিনি আমার মূল্যবোধ বোঝেন। আমার রসিকতা বোঝেন এবং আমাদের অনেক কিছুতে মিল রয়েছে।’