ব্যস্ত সূচিতে পরিবারের সঙ্গে সবসময় বড়দিন পালন করা হয় না। মারিয়া মান্দাকে বেশিরভাগ সময় সতীর্থদের সঙ্গে সময় কাটাতে হয়। তবে এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। সদ্য সাফ নারী অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবলে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তাই হাতে এখন অফুরন্ত সময়। একে দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, তার ওপর বড়দিন। তাই ময়মনসিংহের প্রত্যন্ত গ্রাম মন্দিরগোনায় ‘ডাবল’ উৎসবে মেতেছেন মারিয়া ও তার পরিবার।
২০১৭ সালে অনূর্ধ্ব-১৫ নারী সাফের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ছিলেন মারিয়া। এবার অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়কও এই মিডফিল্ডার। দেশকে ট্রফি এনে দিতে পেরে যারপরনাই আনন্দিত তিনি। বড়দিন পালনের একফাঁকে বাংলা ট্রিবিউনকে মারিয়া বলেছেন, ‘ফুটবলের ব্যস্ত সূচির কারণে অনেক ক্রিস্টমাস ক্যাম্পে কেটেছে। সেভাবে পরিবারে সময় দিতে পারিনি। এবার অনেক দিন পর সুযোগ এসেছে। বড়দিন পরিবারের সবার সঙ্গে আনন্দে পালন করতে পারছি। আমার কাছে এই বড়দিন বিশেষ কিছু। দিনকয়েক আগে অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। তাই আনন্দটা দ্বিগুণ বলতে পারেন।’
মারিয়া যখন তৃতীয় শ্রেণিতে পড়েন তখন বাবা বীরেন্দ্র মারাত মারা যান। মা এনতা মান্দা চার সন্তানকে নিয়ে সেই থেকে জীবন-সংগ্রামে লড়াই করে যাচ্ছেন। তবে ফুটবল খেলে সংসারে সাহায্য করতে পেরে মারিয়া খুশি। যদিও বাবার কথা তার মনে পড়ে সবসময়, ‘বাবা আজ বেঁচে থাকলে অনেক খুশি হতেন। বাবার কথা অনেক মনে পড়ে। তবে তার চেহারা মনে নেই। মা-ই এখন আমাদের সবাইকে আগলে রেখেছেন।’
বয়সভিত্তিক পর্যায়ে বাংলাদেশ সাফল্য পেলেও জাতীয় দলের খেলাতে সেই ধারাবাহিকতা নেই। এখন পর্যন্ত সাফে একবারই ফাইনালে খেলতে পেরেছে। ভারতের শিলিগুড়িতে ২০১৬ সালে। এর আগে কিংবা পরে আর ফাইনাল খেলা হয়নি।
মারিয়া অবশ্য আশা দেখছেন। আগামীতে আর বয়সভিত্তিক দলে খেলা হবে না তার। তবে জাতীয় দলের জার্সিতে সাফল্যের চেষ্টায় থাকবেন, ‘আরও কিছুদিন পর আমরা জাতীয় দলে সাফল্য পাবো। এই দলটি অনেক দিন ধরেই আছে। নিশ্চয়ই সামনের দিকে ভালো কিছু হবে।’