Published : Sunday, 26 December, 2021 at 12:00 AM, Update: 26.12.2021 12:04:30 AM
রণবীর ঘোষ কিংকর: চলতি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পঞ্চম ধাপে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ হয় ২০ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ নিয়েই আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রচারণায় নামে প্রার্থী। আর প্রচারণার অন্যতম উপকরণ পোস্টার লিফলেট ছাপাতে মরিয়া হয়ে উঠেন প্রার্থীরা। শুরু হয় প্রতিটি ছাপা কারখানায় প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের আনাগোনা।
প্রার্থীদের ওই পোস্টার লিফলেট যথা সময়ে পৌঁছে দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিটি ছাপা কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা। কেউবা কম্পিউটারে ডিজাইন তৈরি করছেন, কেউবা প্লেইট তৈরি, আবার কেউবা ছাপানোর কাজ করছেন। আবার শীতকালিন কুয়াশাকে মাথায় রেখে কেউবা পোস্টারে লেমেনিটিং কাজ করছেন। এমন কাজের চাপে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন শ্রমিকরা।
প্রার্থীদের কাঙ্খিত পোস্টার লিফলেট যথা সময়ে পৌঁছে দিতে ছাপা কারখানাগুলোতে অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছে ছাপা কারখানার মালিকরা। আবার কেউবা রাজধানী ঢাকা থেকেও অতিরিক্ত পোস্টার লিফলেট ছাপিয়ে প্রার্থীদের চাহিদা পূরণ করছে। এছাড়া যারা দলীয় প্রার্থী আছেন মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর থেকে তাদের কাজের অর্ডার নিয়ে প্রতীক বরাদ্দের আগেই তাদের পোস্টার লিফলেট ছাপানোর কাজ শেষ করে রাখা হয়েছে।
এদিকে, প্রচারণার শুরুর পাঁচদিন গত হওয়ার পরও পর্যাপ্ত পোস্টার, লিফলেট হাত না পেয়ে মুখ বেজার করে খালি হাতে ফিরছে। আবার কেউবা ছাপা কারখানায় বসে থেকেই ছাপিয়ে নিচ্ছে।
সরেজমিনে চান্দিনার বেশ কয়েকটি ছাপা কারখানা ঘুরে দেখা যায়, ছাপা কারখানায় শ্রমিকদের ব্যস্ততা। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান, সাধারণ মেম্বার ও সংরক্ষিত মেম্বার পদে ৬৮৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যে কারণে প্রায় সকল ছাপাকারখানাগুলোতেই ছাপা কাজ চলছে। যারা আগে অর্ডার করেছেন তাদের কাজই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ছাপাচ্ছে। আবার কেউবা পরে এসে অর্ডার করায় যথা সময়ে সরবরাহ করতে পারবে বিধায় কাজও নিচ্ছে না কয়েকটি ছাপা কারখানায়।
চান্দিনার সব চেয়ে বড় ছাপাঘর ‘মাসুম অফসেট প্রেস’ এর সত্বাধিকারী মাসুমুর রহমান মাসুদ জানান, তফসিল ঘোষনার পর থেকেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। কম্পিউটারে প্রতীক ডাউনলোড, বেশ কয়েকটি ডিজাইন এর কাছও এগিয়ে রাখি। অনেক প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দের আগেই আমাদের সাথে চুক্তি করে অর্ডার দিয়ে গেছেন পোস্টার, লিফলেটের। শুধুমাত্র প্রতীক বরাদ্দের দিন আমাদের কাছে এসে তাদের বরাদ্দকৃত প্রতীক জানিয়েছেন, আর আমাদের ছাপার কাজ শুরু হয়। নির্বাচনে প্রচারণার দিন কম থাকায় আমাদেরও বাড়তি চাপ সামাল দিতে হয়। দিনে রাতে কাজ করে প্রার্থীদের পোস্টার লিফলেট ছাপানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, যাচাই বাছাইয়ের পর থেকে প্রতীক বরাদ্দের পরদিন পর্যন্ত অর্ডার নিয়েছি। তারপর যারা এসেছেন তাদের অর্ডার আর গ্রহণ করেনি। যাদের গুলো অর্ডার নিয়েছি প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকে ধাপে ধাপে সকলের পোস্টার ও লিফলেট দিতে শুরু করেছি। এখনও ছাপা কাজ চলছে। আগামী ২/৩দিন পর্যন্ত ব্যস্ততা থাকবে।