ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জহিরুল হত্যা: ১৩ জনের ফাঁসি, ৮ জনের যাবজ্জীবন
Published : Monday, 27 December, 2021 at 12:00 AM
পাঁচ বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জগৎ বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল হক হত্যা মামলায় ১৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত; আট আসামিকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান রোববার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
জহিরুল হক ছিলেন নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ইউপি নির্বাচন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর রাস্তায় হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বসু মিয়া, কবির মিয়া, মোখলেস, সাচ্চু মিয়া, জাহাঙ্গীর মিয়া, শহিবুর রহমান শুক্কি, লিয়াকত আলী, ইউনুছ মিয়া, রহমত উল্লাহ ওরফে ফারিয়াজ মিয়া, শিথিল আহমেদ ওরফে ফাহিম আহম্মেদ, সাইফুল, পাবেল ও আলী মিয়া।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নুরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, রাসেল, মাজু মিয়া, গোলাপ মিয়া, সোহেল মিয়া, শাহজাহান ও বোরহান ওরফে রুহান।
যাবজ্জীবন সাজার পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন বিচারক। সেই টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের আরও এক বছর জেল খাটতে হবে বলে এ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি মো. আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইঞা জানিয়েছেন।
আসামিদের মধ্যে মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত ফারিয়াজ মিয়া, শিথিল আহমেদ, সাইফুল, পাবেল ও আলী মিয়া পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া উত্তর পৌরতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে অটো রিকশায় করে এসে পয়াগ গ্রামে বাড়ি ফিরছিলে জহিরুল হক। ইউপি নির্বাচনের দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের কর্মী-সমর্থকররা দুটি মোটরসাইকেলে করে এসে রাস্তায় তার পথ আটকায়।
তারা জহিরুলের ওপর হামলা করে এবং অটোরিকশা চালককেও মারধর করে। হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর সেই অটোরিকশা চালক অন্যদিক থেকে আসা আরেকটি অটোরিকশা চালককে বিষয়টি জানালে তিনি মোটরসাইকেল দুটিকে ধাওয়া করেন।
পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উত্তর পৌরতলা সিএনজি স্ট্যান্ডে থাকা লোকজনের সহায়তায় আসামি শিথিল ও ফারিয়াজকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়। সেদিন রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জহিরুল।
তার ছোট ভাই কবির হোসেন পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২১ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
মামলার বিচার শেষে তাদের সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিল আদালত।