পৌষের মাঝামাঝিতে এসে শীত টের পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশে, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমবে বলে আভাস মিলেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শৈত্যপ্রবাহ বয়ে না গেলেও উত্তরী হাওয়ায় রাতে ও ভোরে শীত অনুভব হচ্ছে এখন। তাপমাত্রা কমার প্রবণতাও দুয়েকদিনের মধ্যে শুরু হবে। বুধবারের দিকে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে বলে আভাস আবহাওয়া বিভাগের।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানান, জানুয়ারি মাসে দুই থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। যার মধ্যে একটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ রূপ নিতে পারে।
বড় এলাকাজুড়ে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে।
রোববার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গলে ৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় ঢাকায় পারদ নেমেছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এছাড়া বরিশাল, যশোর, তেঁতুলিয়া, রংপুর, রাজশাহী, নওগাঁর বদলগাছী, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ, মাদারীপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১-১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে।
চলতি মৌসুমে ২০ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গায় ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সে সময় এ তিন দিন গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও বরিশাল অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ ছিল।
এরপর বছরের শেষ দিনে মৌসুমের দ্বিতীয় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায় পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রাম জেলার উপর দিয়ে। শুক্রবার তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, “এখন কাগজে কলমে শৈত্যপ্রবাহ নেই। তবে উত্তরী হাওয়া বেশ থাকায় ও কুয়াশার দাপটে শীতের অনুভূতিও বেশ রাতে ও সকালে। এমন আবহাওয়া আরও দু’দিন থাকবে।
“দু’তিন দিন পরে তাপমাত্রা কমতে থাকবে। এসময় দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় আরেকদফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে।”
জানুয়ারির এই শীত স্বাভাবিক বলেই মন্তব্য করেন তিনি।
দেশের উত্তর, উত্তর পূর্বাঞ্চল, উত্তর পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এবং নদ-নদী অববাহিকায় হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশা কখনও কখনও দুপুর অবধি গড়াতে পারে বলে আভাস অধিদপ্তরের।