সন্ত্রাসী হামলায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী
Published : Thursday, 24 February, 2022 at 12:00 AM
শাহীন আলম, দেবিদ্বার ||
কুমিল্লায় সন্ত্রাসী হামলায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে হারুনুর রশীদ নামে পরাজিত এক চেয়ারম্যান প্রার্থী। মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দেবিদ্বার-বুড়িচং উপজেলার সীমান্তবর্তী কংশনগর এলাকায় ওই প্রার্থীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। হারুনুর রশিদ দেবিদ্বার উপজেলার বরকামতা ইউনিয়ন থেকে ঘোড়া প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নৌকার প্রার্থী নুরুল ইসলামের সাথে পরাজিত হন। ওই ইউপিতে নৌকার বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল ইসলাম উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের পিতা। এদিকে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হারুনুর রশিদ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
হারুনুর রশিদের স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন নিয়ে বিরোধের জের ধরে সালাউদ্দিন, আলমগীর, বাচন, পলাশসহ একদল সন্ত্রাসী মনির হোসেন নামে তার এক সমর্থককে মারধর করে। এ ঘটনায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি এবং লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে রাতে থানায় যান হারুনুর রশিদ। এতে ক্ষুব্দ সন্ত্রাসীরা তাকে প্রানে মেরে ফেলার জন্য অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সড়কে ওঁৎপেতে থাকেন। পরে রাত ১টার দিকে সিএনজি যোগে বাড়ী ফেরার পথে দেবিদ্বার-বুড়িচং সীমান্তবর্তী কংশনগর এলাকায় পরিকল্পিতভাবে তার উপর হামলা করা হয়। এ সময় তাকে সিএনজি থেকে নামিয়ে হাত-পা বেঁধে দশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার হাতের দুটি আঙ্গুল ফেলে দেয়া হয়। এ ছাড়া মাথাসহ পুরো শরীরে কুপিয়ে এবং ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করা হয়। এতে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে পুলিশের সহায়তায় কুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসকরা জানান, তার শরীর থেকে বিপুল পরিমান রক্তক্ষরণ হয়েছে। তার হাতের দুটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। পুরো শরীরে এবং মাথায় কুপিয়ে গুরুতর ইনজুরী করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে কুমেক হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
হামলার সময় তার সাথে থাকা সাবেক ইউপি সদস্য আবুল হাশেম বলেন, থানা থেকে বের হওয়ার পর পরই একটি মোটর সাইকেল আমাদের সিএনজিটিকে নজরদারী করছিল। পরে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের কংশনগর হয়ে ফুলতলী এলাকায় প্রবেশদ্বারে কয়েকটি মোটর সাইকেল এবং একটি প্রাইভেটকার আমাদের সিএনজিটিকে ঘিরে ফেলে। এ সময় হারুনুর রশীদকে সিএনজি থেকে ধরে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। হামলায় প্রায় ১৪-১৫ জড়িত থাকলেও আমি মাসুদ, সালাউদ্দিন, আলমগীর, বাচন, পলাশ এবং রুবেলকে চিনতে পেরেছি। আর বাকীরা মুখোশ পরিহিত থাকায় কাউকে চিনতে পারিনি।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমি দেবপুর ফাঁড়ি পুলিশের সহায়তায় হামলার শিকার হারুনুর রশিদকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। ঘটনাটি ঘটেছে বুড়িচং উপজেলার কংশনগর এলাকায়। আমি এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ওসি এবং দেবপুর ফাঁড়ির ইনচার্জের সাথে কথা বলেছি। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করবো।