ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
কুমিল্লায় মাদ্রাসার তিন শিশুকে ধর্ষণকারী গ্রেপ্তার
Published : Thursday, 24 March, 2022 at 12:00 AM, Update: 24.03.2022 1:30:31 AM
কুমিল্লায় মাদ্রাসার তিন শিশুকে ধর্ষণকারী গ্রেপ্তারনিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লার বরুড়ায় একই মাদ্রাসার তিন শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত সেই পলাতক আলী আকবরকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুরে দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিন বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ।
তিনি বলেন, তিন শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে দুইটি মামলা দায়ের করেছে তিন শিশুর দুই পরিবারের স্বজনরা। ঘটনার পর পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ শুরু করে। পরে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, বরুড়া থানা পুলিশের কর্মকর্তারা বুধবার সকালে মিজবাহুল উলুম মহিলা ও নূরানী মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সাথে মত বিনিময় করেন। তাদের কাছে থেকে সবার খোঁজ খবর নেন। আর কোন শিক্ষার্থী শারীরিক ও মানসিক ভাবে অসুস্থ কি না সে খোঁজ খবরও নেন। পরে বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল বাহার মজুমদার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আরো সচেতন হবার পরামর্শ দেন।
এর আগে বরুড়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের নরিন গ্রামের দুই পরিবারের তিন শিশুকে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে স্থানীয় আলী আজ্জমের ছেলে আলী আকবরের(৫৫) বিরুদ্ধে। ধর্ষণের শিকার শিশুরা একই বাড়ির দুই পরিবারের চাচাতো বোন। তাদের তাদের দুইজনের বয়স ১০ বছর এবং একজনের বয়স ৯ বছর।
জানা গেছে, স্থানীয় আবাসিক ও অনাবাসিক মিজবাহুল উলুম মহিলা ও নূরানী মাদরাসার শিক্ষার্থীরা মাঠে প্রতিদিন খেলাধুলা করতো। মাদরাসাটি স্থানীয় আলী আজ্জমের ছেলে আলী আকবরের বাড়ির থেকে তিনশো গজ দূরে। তাই মাদরাসা মাঠ থেকে প্রতিদিনই তারা ওই বাড়ির আশপাশে খেলতে যেতো। অভিযুক্ত আলী আকবর তার বাড়িতে দিনের বেশিরভাগ সময় একা থাকতো। গত ১৯ ও ২০ মার্চও প্রতিদিনকার মতো শিশুরা মাঠে খেলতে নামে ও তার বাড়ির আশপাশে ঘুরতে যায়। এসময় তাদেরকে চকলেট ও ১০ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে নিজ ঘরে নিয়ে যায় আলী আকবর। পরে শিশুদের ধর্ষণ করে। শিশুরা বাড়ি এসে স্বজনদের জানালে স্বজনরা থানায় মামলা করে।