ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
দেবিদ্বারে কিশোর গ্যাং আটক
Published : Monday, 11 April, 2022 at 12:00 AM, Update: 11.04.2022 12:45:49 AM
দেবিদ্বারে কিশোর গ্যাং আটক শাহীন আলম, দেবিদ্বার ||
কুমিল্লার দেবিদ্বারে কিশোর গ্যাং বদর বাহিনীর সক্রিয় সদস্য হিমেলকে আটক করেছে দেবিদ্বার থানা পুলিশ। রোববার ভোরে পৌর এলাকার বানিয়াপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করে থানা পুলিশ। হিমেল (২২) পৌর এলাকার বানিয়াপাড়ার (ফুলগাছতলা) মীর হোসেনের ছেলে এবং  কিশোর গ্যাং মামলার ৩নং এজহারভুক্ত আসামী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নাজমুল হাসান।
জানা গেছে, চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি ছোট আলমপুরের লিমন নামে এক কিশোরকে রড, রাম দা ও হাতুরি দিয়ে এলোপাতারি আঘাত করে  এবং পিঠে ছুরিকাঘাত করে দুই হাত ও দুই পায়ের মাংস আলাদা করে ফেলে বদর, হিমেল, সোহাগ, ইফরান গুরু, সোহাগ, রামিমসহ কিশোর গ্যাং বদর বাহিনীর ১০/১২জন সদস্য। পরে ১৭ জানুয়ারি দেবিদ্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন লিমনের হতদরিদ্র পিতা মো. আলমগীর হোসেন। ঘটনার পর গ্যাংয়ের সদস্যরা পালিয়ে যায়। সম্প্রতি হিমেল এলাকায় আসার খবর পেয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো.নাজমুল হাসান একদল পুলিশ নিয়ে অভিযান চালিয়ে বাহিনীর সদস্য হিমেলকে তার বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
স্থানীয়রা জানান, দেবিদ্বার পৌর এলাকার বিভিন্নস্থানে বদর বাহিনী ছিনতাই, চুরি, ইভটিজিং, প্রতিপক্ষের কিশোরদের মারধোরসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। এরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে হুমকি ধামকির ভিডিও আপলোড দিয়ে এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরী করছে। কিশোর গ্যাং বদর বাহীনির  বাকি সদস্যদেরও আটক করার দাবি জানাচ্ছি।  
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নাজমুল হাসান জানান, তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কিশোর গ্যাং বদর বাহিনীর অন্যতম সদস্য ও মামলার ৩ নং আসামী হিমেলকে আটক করা হয়েছে। সে লিমনকে মারধর করাসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তাকে যারা সেল্টার দিয়েছে তাকেও খুঁজে বের করা হবে।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আরিফুর রহমান বলেন, লিমন নামে কিশোরকে মারধোর করার মামলায় কিশোর গ্যাং বদর বাহিনীর সক্রিয় সদস্য হিমেলকে আটক করা হয়েছে। তাকে রোববার দুপুরে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করা  হয়েছে। হিমেল বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত,  বাকি সদস্যদেরকেও আটক করা হবে। দেবিদ্বারে কেউ অন্যায়-অপরাধ করে পার পাবে না। থানা পুলিশ শক্ত অবস্থানে থেকে অন্যায় অপরাধ মোকাবেলা করবে।