রমজান মাসে সুস্থ ও প্রাণবন্ত থাকতে শরীরে যাতে পানিশূন্যতা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ছবি ও পোশাক : লা রিভ
রমজান মাসে সুস্থ ও প্রাণবন্ত থাকতে শরীরে যাতে পানিশূন্যতা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ছবি ও পোশাক : লা রিভ
গরমে রোজা রাখার কারণে শরীরে পানির পরিমাণ কমে যায়। পানিশূন্যতা ত্বকে প্রভাব ফেলে। পানির অভাবে ত্বকের আর্দ্রতা কমে গিয়ে ত্বক প্রাণহীন ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে। তাই রোজাদারদের এ শূন্যতা পূরণে সন্ধ্যার পর থেকে সচেতন থাকতে হবে। ইফতারে অন্যান্য খাবারের সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। পাশাপাশি পানীয় অংশ বেশি থাকে এমন ফলমূল, ফলের রস ও ডাব খেতে পারেন।
ত্বক সুন্দর রাখতে রমজানে অতিরিক্ত তেল ও মসলা দেওয়া খাবার কম খাবেন। সম্ভব হলে ‘ভাজাপোড়া’ খাওয়া থেকে একেবারে বিরত থাকুন। এসব খেলে শরীর আরও বেশি পানিশূন্য হয়ে পড়ে। তৈলাক্ত খাবার না খেয়ে বরং ত্বক সতেজ রাখতে সিদ্ধ খাবার, ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘ই’ যুক্ত খাবার যেমন গাজর, টমেটো, ব্রকলি খাওয়া যেতে পারে। রমজানে প্রাণবন্ত থাকতে হলে ত্বক সুন্দর রাখতে হবে। জেনে নিন কীভাবে ত্বক সজীব রাখবেন রোজা রেখেও।
কাঁচা হলুদ ও চন্দনের প্যাক: এক টেবিল চামচ কাঁচা হলুদের গুঁড়া ও এক টেবিল চামচ চন্দন কাঠের গুঁড়ার সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করে ত্বকে লাগিয়ে বিশ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বকের ব্রণ দূর করার পাশাপাশি ব্রণের দাগ দূর করবে। এটি ব্যবহার করবেন সপ্তাহে তিন দিন।
টমেটো, কলা, শসার প্যাক: টমেটো, কলা, শশা একসঙ্গে মিলিয়ে প্যাক তৈরি করে ইফতারের ঘণ্টাখানেক পর ত্বকে লাগিয়ে পনেরো মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এই প্যাকটি ব্যবহারে ত্বকের শুষ্কতা দূর হবে।
পেঁপের প্যাক : এক টেবিল চামচ পাকা পেঁপে চটকে তার সঙ্গে এক টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস এবং প্রয়োজন অনুযায়ী চালের গুঁড়া মিশিয়ে নিবেন। মিশ্রণটি মুখসহ পুরো গলায় বিশ থেকে পঁচিশ মিনিট রেখে হালকা ম্যাসাজ করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।
বাদামের প্যাক: পানিশূন্য ত্বকে নিয়মিত কাঠবাদাম বাটা, ঠাণ্ডা দুধ এবং গোলাপ জল দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এটি শুষ্ক পানিশূন্য ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
চন্দন, মুলতানি মাটি ও নিমপাতার প্যাক: চন্দনের গুঁড়া, মুলতানি মাটি ও নিমপাতা বাটা একত্রে মিশিয়ে ত্বকে দশ মিনিট ম্যাসাজ করবেন। এটি রোজায়ও ত্বককে রাখবে সতেজ ও সুন্দর। এই প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন সপ্তাহে তিন দিন।
ত্বক ভালো রাখতে ইফতারিতে ‘ভাজাপোড়া’ জাতীয় খাবার কম খেয়ে ঘরে তৈরি ফলের জুস খাবেন। এখন মৌসুমি অনেক ফল পাওয়া যাচ্ছে। দামও হাতের নাগালে। বেশি বেশি ফল, দই, চিড়া ও শরবত খাওয়ার চেষ্টা করুন। তাহলে রমজান মাসেও থাকতে পারবেন সজীব ও প্রাণবন্ত।