রমজানে সারাদিন রোজা রেখে বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে শরীর হয়ে পড়ে ক্লান্ত এবং দুর্বল। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে প্রয়োজন পুষ্টিকর ইফতার। ইফতারে পুষ্টিকর খাবার মেন্যুর প্রথম দিকেই থাকবে খেজুর। রোজায় খেজুরের উপকারিতার কথা বলে শেষ করা কঠিন।
খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, ফসফরাস, বিটা-ক্যারোটিন সহ নানারকম স্বাস্থ্যকর উপাদান। আসুন দেখে নেই খেজুরের প্রধান কিছু উপকারিতা-
১। গ্লুকোজ এর ঘাটতি পূরণ: রোজায় দীর্ঘসময়য়ের জন্য না খেয়ে থাকার ফলে শরীরে গ্লুকোজ এর ঘাটতি অনুভূত হয়। খেজুরে থাকা প্রচুর পরিমাণ গ্লুকোজ পূরণ করতে পারে সে ঘাটতি।
২। কোলেস্টেরল থেকে মুক্তি: খেজুরে আছে ডায়েটারি ফাইবার, যা আপনাকে দেবে কোলেস্টেরল থেকে মুক্তি।
৩। রোগ প্রতিরোধকারী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট: খেজুরে আছে ৩ রকমের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা ডায়াবেটিস এবং হার্টের রোগের ঝুঁকি কমায়, এমনকি বৃদ্ধি করে দৃষ্টিশক্তি।
৪। শুষ্ক কাশি দূর করে: খেজুর পেটের গ্যাস এবং শুষ্ক কাশি দূর করে। এজমার সুরক্ষায়ও খেজুর ভালো কাজ করে থাকে।
৫। শক্তির যোগানদাতা: খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণ শর্করা যা শারীরিক দূর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে।
৬। ক্যালসিয়ামের উৎস: খেজুরে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা আপনার হাড়, দাঁত, নখ ইত্যাদি ভালো রাখতে সহায়তা করবে।
৭। পটাশিয়াম: খেজুরে বিদ্যমান প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম আমাদের শরীরের নার্ভ সিস্টেম কে সচল রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৮। ডাইরিয়া প্রতিরোধে সহায়ক: খেজুরে থাকা ডায়েটারি ফাইবার ডাইরিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় দেখা যায়, ডাইরিয়ায় শরীর থেকে বের হয়ে যায় ইলেক্ট্রোলাইট, যার অভাব দূর করতে পারে খেজুর।
৯। এলার্জি থেকে মুক্তি: খেজুরে থাকা অর্গানিক সালফার আপনাকে বিভিন্ন রকম এলার্জির হাত থেকে মুক্তি দেবে।
১০। ওজন কমাতে সহায়ক: ওজন কমানোর জন্যেও খেজুর একটি ভালো সমাধান। নিয়মিত খেজুর খেয়ে ওজনকে আয়ত্তে রাখা সম্ভব।
খেজুর এমন একটি ফল, যার মধ্যে আছে প্রায় সব রকমের পুষ্টি উপাদান। একের ভেতর সব কথাটির সার্থক সমার্থক হতে পারে খেজুর। তাই এই রমজানে ইফতার আইটেম এ খেজুর রেখে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করুন।