সেই
২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো আইপিএলে ডাক পাওয়া। তারপর থেকে বরাবরই দলগুলোর
আগ্রহ দেখা গেছে মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে। ফলে পাঁচ আসরে চারটি
ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলে ফেলেছেন।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দিয়ে শুরু। নিজের
প্রথম আইপিএলেই দলকে শিরোপা এনে দেন মোস্তাফিজ, হন প্রথম বিদেশি হিসেবে
টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়।
এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি
টাইগার কাটার মাস্টারকে। ২০১৭ সালে হায়দরাবাদ তাকে ধরে রাখে, ২০১৮-তে কেনে
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ২০২১ আইপিএলে মোস্তাফিজকে ১ কোটি রুপিতে লুফে নেয় আরেক
দল রাজস্থান রয়্যালস।
এবার নিলামে টাইগার পেসারকে দুই কোটি রুপিতে
কিনেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। তবে মোস্তাফিজ জানালেন, আইপিএলের নিলামের সময়টায়
তিনি আর সবার মতো টিভিতে চোখ রাখতে পারেননি। এমনকি দিল্লি যে তাকে কিনেছে,
সেটাও শুনেছেন আরেকজনের মুখ থেকে।
দিল্লির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে
মোস্তাফিজের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ হয়েছে। যেখানে নতুন দলে নাম লেখানো
নিয়ে বাঁহাতি এই পেসার বলেন, ‘অকশনের (নিলাম) ওই সময় আমি দেখিনি। বিপিএলে
আমাদের খেলা চলছিল ওই সময়। আমাদের দল ব্যাটিং করছিল, আমি ডাকআউটে ছিলাম।
তখন একজন আমাকে বলে যে, ফিজ তুই দিল্লি ক্যাপিটালসে। এর আগে ৩টি দলে
খেলেছি, এবার নতুন আরেকটি দলে ভালো লাগছে।’
আইপিএলে এবার অভিজ্ঞতা কেমন?
মোস্তাফিজ বলেন, ‘অভিজ্ঞতা বলতে এখানে অনেকের সঙ্গে আমি কমবেশি খেলাধুলা
করেছি। একসঙ্গে না খেললেও প্রতিপক্ষ দলে ছিল এমন, কিংবা আইপিএলের শেষ
মৌসুমে চেতন সাকারিয়া ছিল, ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে দুই বছর খেলেছি।
সবমিলিয়ে ভালো অভিজ্ঞতা।’
এবারের আসরে নিজের প্রথম ম্যাচেই ৩ উইকেট নেন।
পরের দুই ম্যাচে উইকেট না পেলেও রান আটকে রেখে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার মূল
দায়িত্বটা পালন করেছেন মোস্তাফিজই। ফলে তার পারফরম্যান্সে কোচ, সতীর্থ
সবাই খুশি। কোচদের কাছ থেকে কেমন প্রশংসা পাচ্ছেন? মোস্তাফিজ বলেন, ‘ভালোর
তো আসলে শেষ নেই। সবসময় আমি খেলতে নামলে আমি চেষ্টা করি নিজের বেস্টটা
দেওয়ার।’
দিল্লি ক্যাপিটালসের সেরা পারফরমারকে প্রতি ম্যাচ শেষে একটি
লোগো উপহার দেন কোচ রিকি পন্টিং। মোস্তাফিজও সেই লোগো পেয়েছেন। পন্টিংয়ের
কাছ থেকে পুরস্কার পাওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে ফিজ বলেন, ‘এটা শুধু
আমার জন্য না প্রতিটি খেলোয়াড়ের জন্যই অনুপ্রেরণাদায়ক। ম্যাচ হারি আর জিতি,
আপনি যদি ভালো পারফর্ম করেন...। ড্রেসিংরুমে সবার সামনে ভালো ভালো কথা বা
যে যেদিন ভালো করছে সেদিন তার সম্মানটা বাড়ছে। তাকে সামনে নিয়ে আসা, আমার
মনে হয় খুবই ভালো এটা।’
বায়োবাবলের একঘেয়ে পরিবেশে কিভাবে সময় কাটে? ‘এখানে আমার ফ্রেন্ড আছে, বাড়িতে কথা বলি। ফোনে কথা বলা হয় বেশি’-জানান মোস্তাফিজ।
বাংলাদেশি
সমর্থকদের উদ্দেশে তার বার্তা, ‘আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন, যেন আমি যেন
আরো ভালো খেলা উপহার দিতে পারি। আর দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে থাকুন। আরো
ভালো খেলা যেন আমরা উপহার দিতে পারি।’