ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ইউক্রেন যুদ্ধে ২০ সাংবাদিক নিহত
Published : Wednesday, 13 April, 2022 at 11:43 AM
ইউক্রেন যুদ্ধে ২০ সাংবাদিক নিহতইউক্রেন যুদ্ধে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত চলা সংঘাতে বহু সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

ন্যাশনাল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টস অব ইউক্রেন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইউক্রেনে এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা রাশিয়ার হামলায় এখন পর্যন্ত ২০ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।

একটি লিস্টে ওই সাংবাদিকদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। এসব সাংবাদিকের মৃত্যু প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, নিহতদের মধ্যে অনেকেই বিদেশি নাগরিক।

এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনে ‘গণহত্যার’ অভিযোগ তুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যে এক অনুষ্ঠানে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তোলেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের আরও বলেন, আমি একে গণহত্যাই বলছি, কারণ এটি আরও স্পষ্ট যে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালিয়ে যেসব হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে, তা মুছে ফেলার চেষ্টা করছেন পুতিন এবং এই প্রমাণগুলো আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে কিনা সেটি আইনজীবীরাই জানাবেন, তবে আমার মনে হয় সেটিই ঘটেছে।

এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কর্মকর্তা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনই এটিকে ‘গণহত্যা’ বলে উল্লেখ করলেন।

পুতিনের বিরুদ্ধে বাইডেনের ‘গণহত্যার’ অভিযোগ আনার পরপরই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এক টুইট বার্তায় প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বক্তব্যকে ‘সত্য কথা’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন জেলেনস্কি।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এখনো অব্যাহত রয়েছে বলে দাবি করছে দেশটি। এর মাঝে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে একের পর এক গণকবরের সন্ধান পাওয়ার দাবি করছে তারা। গত রোববার এক হাজার দুশো’র বেশি মরদেহ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ।