গরমে শুধু সারাক্ষণ ফ্যানের বাতাসের নিচে বসে থাকলেই প্রশান্তি পাওয়া যাবে না, প্রশান্তি পেতে চাইলে খেয়াল রাখতে হবে ত্বকের দিকেও। ত্বক যেহেতু পঞ্চেন্দ্রিয়ের একটি, তাই দেহের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য ত্বকের যত্ন অত্যন্ত জরুরি। গ্রীষ্মকালে প্রখর তাপ ও ঘামের কারণে ত্বকের সমস্যা অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই গরমের সময়টাতে ত্বকের প্রয়োজন হয় অতিরিক্ত যত্নের। কীভাবে যত্ন নেবেন, জেনে নিন।
ফেসওয়াশের বদলে দুধ: উপমহাদেশে ত্বকের পরিচর্যায় দুধের ব্যবহার নতুন নয়। আধুনিক বিভিন্ন গবেষণাও বলছে ত্বক পরিস্কার করতে দুধের জুড়ি মেলা ভার। আবার দুধের সঙ্গে যদি হলুদ মিশিয়ে নিতে পারেন, তবে ব্রণর সমস্যা কমে যায় অনেকটাই। দুধ ত্বকের অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সহায়তা করে।
ময়েশ্চারাইজার: গরমকালে জোজোবা তেল ও ভিটামিন ই সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ভালো থাকে ত্বক। গরমে আর্দ্রতা এমনিতেই বেশি থাকে। এ সময়ে হালকা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। যেসব ময়েশ্চারাইজারে ফলের নির্যাস ব্যবহার করা হয়, সেগুলো ত্বকের যত্নে উপকারী।
বাহুমূলের যত্ন: ত্বকের যত্নে আগ্রহী অনেকে অবহেলা করেন বাহুমূল বা বগলের যত্ন নিতে। বগলের দুর্গন্ধ বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করে। এ ধরনের দুর্গন্ধ তৈরির জন্য একধরনের অণুজীব বা ব্যাকটেরিয়া দায়ী। দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে অনেকে ডিওডোরান্ট ব্যবহার করেন। এ ধরনের প্রসাধনী ব্যবহারে খেয়াল রাখুন যেন তাতে অ্যালকোহল না থাকে।
অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরা ত্বক মসৃণ করে ও ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। পাশাপাশি, অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে শীতল থাকে ত্বক। সানস্ক্রিন লোশন কিংবা ময়েশ্চারাইজার সিরামের সঙ্গে মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরা জেল।
তরল সাবান: গরমকালে অনেকেই একাধিকবার গোসল করেন। কিন্তু গোসলের সময়ে বারবার সাবান ব্যবহার করা হলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাই সাবানের বদলে ব্যবহার করতে পারেন গোসলের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি তরল সাবান বা শাওয়ার জেল। এতে এক দিকে যেমন দূর হবে ত্বকে জমে থাকা ময়লা ও তৈলাক্ত পদার্থ, তেমনই ছড়াবে সুগন্ধও।