রাতে কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে দেশের বিভিন্ন স্থানে। দেশের কাছাকাছি অঞ্চলে তিনটি শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড়ের সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের পূর্ব দিকে ও পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল নামক স্থানে এসব ঝড় ঘনীভূত হচ্ছে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দেশের কোথাও কোনো সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়নি। জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্র ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনী যশোর রাডার থেকে প্রাপ্ত সূত্রে এ চিত্র ফুটে উঠেছে।
দেশের খুলনায় ৮টা থেকে ১১টার মধ্যে ঝড় হতে পারে, বরিশাল হতে পাড়ে ৯টা থেকে ১২টার মধ্যে এবং রাত ১১টা থেকে ভোর পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলাগুলোর ওপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড়, বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি প্রবাহিত হতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা জানান, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত বাতাসের কারণে ঝাড়খণ্ডে সৃষ্টি হওয়া কালবৈশাখী ঝড় দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে রাত ৮টার পর থেকে। এ সময় যশোর ও খুলনা জেলার ওপর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কালবৈশাখী ঝড় শক্তি হারিয়ে ফেললেও তাদের প্রভাবে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে সকালে আবহাওয়া বিভাগ জানায়, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই পরিস্থিতি হতে পারে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায়। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আজ সকাল থেকে ঢাকায় দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে, যা অস্থায়ীভাবে দমকায় পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।
সকালে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে। আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৫টা ৩১ মিনিটে।