মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি এখনও সৌদি আরব সফরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেননি। সৌদি আরবে সম্ভাব্য সফরের দ্বার উন্মুক্ত করার এক সপ্তাহ পর এসে এ কথা বলেন জো বাইডেন।
রবিবার কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
তবে বেশ কিছু সূত্র বলছে, চলতি জুনের শেষ দিকে ইউরোপ ও ইসরায়েল সফরের পাশাপাশি সৌদি আরব সফরের পরিকল্পনা করছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
সৌদি সফরের সম্ভাবনার কথা ঘোষণার পরপরই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্য সফরের সময় একজন সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান, সৌদি আরব এবং ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যাপারে কোনো চুক্তি সইয়ের জন্য তিনি রিয়াদ সফরে যাবেন কিনা। জবাবে প্রেসিডেন্ট বলেন, "বিষয়টি আমরা দেখছি।"
এর আগে সিএনএন টেলিভিশন চ্যানেল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আমেরিকায় জ্বালানি তেলের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার পর সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য তিনি রিয়াদ সফরে যাচ্ছেন। সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে সৌদি সরকার যে নির্মমভাবে হত্যা করেছে সে বিষয়টি এখন উপেক্ষা করছে মার্কিন প্রশাসন।
এই সম্ভাব্য সফরের ঘোষণা দেয়ার মধ্য দিয়ে মার্কিন প্রশাসন রিয়াদের সঙ্গে সম্পর্ক আবার ঠিকঠাক করতে চান বলে জানিয়েছেন বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
সিএনএন’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি প্রেসিডেন্ট বাইডেন সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক আবার ঠিকঠাক করার চেষ্টা করেন তাহলে তা হবে এক নাটকীয় পরিবর্তন। কারণ নির্বাচনী প্রচারণার সময় প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার ঘটনায় তিনি সৌদি আরবের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখবেন। জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সরাসরি অভিযুক্ত বলে সিএনএন তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
মার্কিন প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, নীতি নৈতিকতার প্রশ্নটি চেপে রেখেই প্রেসিডেন্ট বাইডেন দেশের অর্থনৈতিক সংকট সামাল দেয়ার জন্য সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক উষ্ণ করার চেষ্টা করছেন।