ভৌত অবকাঠামোর সংকটে কুবিতে ৫ বছরেও চালু হয়নি নতুন বিভাগ
Published : Tuesday, 21 June, 2022 at 12:00 AM
সাঈদ হাসান, কুবি ||
২০০৬ সালে ৭টি বিভাগ দিয়ে প্রতিষ্ঠা হলেও বর্তমানে ১৯টি বিভাগ রয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সর্বশেষ ২০১৫-১৬ সেশনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ও আইন বিভাগ খুলা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে ২টি বিভাগ অনুমোদন দিলেও প্রশাসন ক্লাস ও ল্যাব সংকট দেখিয়ে ৭ বছরেও চাুল হয়নি নতুন কোন বিভাগ।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ২০১৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে মানব সম্পদ ব্যাবস্থাপনা (এইচআরএম) বিভাগ চালুর অনুমোদন দেয়। অনুমোদনের ৫ বছর পেরিয়ে গেলে অনুমোদনকৃত বিভাগগুলো চালু করতে পারেননি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এরজন্য ভৌত অবকাঠামোর সংকটকে করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন রেজিষ্ট্রার মুজিবুর রহমান মজুমদার।
তিনি বলেন, ইউজিসি আমাদের ২টি বিভাগ খোলার অনুমোদন দিয়েছিলো। সেকারণে আমরা ২টি বিভাগ খোলার ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলাম। তবে আমাদের ভৌত অবকাঠামোগত অসুবিধার কারণে তখন আর খোলা হয়নি।
এদিকে বিভাগ খোলার বিষয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হয়। এজন্য প্রয়োজন নতুন নতুন বিভাগের। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র সেখানে ভিন্ন। নতুন বিভাগ নেই ৭ বছর যাবত। এদিকে ৫ বছর ধরে অনুমোদন নিয়ে থাকলেও খুলছে না বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’টি বিভাগ। অথচ অনেক বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন ছাড়াই বিভাগ খোলার প্রতিযোগিতায় নেমে যায়।
মার্কেটিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রবিন চন্দ্র দাস বলেন, একটা অনুমোদিত বিভাগ না খুলে কেন, বিজনেস ফ্যাকাল্টিতে জার্নালিজমকে জায়গা দেওয়া হয়েছে বুঝলাম না। যেখানে অনুমোদিত মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ চালু হলে বর্তমান বিশ্ব প্রতিযোগিতায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারতো। যার ফলে শিক্ষার্থীরা দক্ষ ও অভিজ্ঞ হয়ে দেশের কাঙ্কিত লক্ষ্য অর্জন করতো। অথচ অনুমোদনের ৫ বছরেও চালু হয়নি বিভাগটি। বলা যায় প্রশাসন এই ব্যাপারে খুবই উদাসীন।
বিষয়টি নিয়ে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন সরকার বলেন, আপাতত আমাদের এখানে বিভাগ চালুর পরিকল্পনা নেই। ২০১৭ সালে যে অনুমোদন পেয়েছিলাম তা অবকাঠামোগত সংকটের কারণে চালু করা সম্ভব হয়নি। যে বিভাগগুলো খোলা আছে তাদের শিক্ষকদেরই যথেষ্ট স্পেস দেয়ার জায়গা পাচ্ছি না।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম আব্দুল মঈন বলেন, গত ৫ বছরে ঠিক কি কারণে খোলা হয়নি আমি জানি না। তবে আগামী শিক্ষাবর্ষেও খোলার সম্ভাবনা নেই। কারণ এখন পর্যন্ত যেসকল বিভাগ খোলা আছে তাদেরেই জায়গা দিতে পারতেছি না।