Published : Tuesday, 21 June, 2022 at 12:00 AM, Update: 21.06.2022 1:45:30 AM
এবিএম আতিকুর রহমান বাশার ঃ
কুমিল্লার
দেবীদ্বারে সড়ক দুর্ঘটনায় নেয়ামত উল্লাহ নিশাদ নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী
নিহত হয়েছেন। নিশাদ উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের মৃত সালাহ উদ্দিনের পুত্র।
রোববার রাত সাড়ে ১০ টায় কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহা-সড়কের দেবীদ্বার পৌর
এলাকার সাইলচর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নিশাদ পরিবারে ৩ ভাই
বোনের মধ্যে দ্বিতীয় সন্তান ছিলেন। তার জমজ ভাই সাইফুল ইসলাম প্রায় সাড়ে ৯
মাস পূর্বে সৌদী আরবে একটি কন্সট্রাকশন ফার্মে কাজ করা অবস্থায় বহুতল ভবন
থেকে পড়ে মারা যান। নিশাদের বাবা সালাহ উদ্দিনও ২০১৮ সালে সৌদী প্রবাসে
থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে প্রবাসেই মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুর পর বাবার লাশ
দেশে আনলেও ভাইয়ের মরদেহ দেশে আনা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ নেয়ামত উল্লাহ
নিশাদও সড়ক দুর্ঘটনায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন। এ নিয়ে এলাকায় শোকের মাতম
চলছে।
স্থানীয়রা জানান, রোববার রাত সাড়ে ১০ টায় কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক
মহা-সড়কের দেবীদ্বার পৌর এলাকার সাইলচর নামক স্থানে ময়লা ফেলার ভ্যানের
সাথে মটরসাইকেলটির ধাক্কা লাগে। ওই সময় মটরসাইকেল আরোহী নেয়ামত উল্লাহ
নিশাদ গুরুত্বর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দেবীদ্বার উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে, নিশাদকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হলে ওইখানে তার মৃত্যু হয়।
দূর্ঘটনার সময় ময়লা ফেলার ভ্যান রিক্সার ড্রাইভার জামাল হোসেনও আহত হন।
সোমবার বাদ জোহর জানাযা শেষে নেয়ামত উল্লাহ নিশাদের লাশ পারিবারিক
কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এ ব্যাপারে মিরপুর হাইওয়ে পুলিশের
ইনচার্জ (ওসি) মোঃ কামাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এরকম
দূর্ঘটনার কোন তথ্য তার জানা নাই। সাংবাদিকের কাছ থেকে দূর্ঘটনার সংবাদ
পেয়ে মিরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এএস আই সোহেল রানাকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে
দূর্ঘটনায় নিহত ব্যাক্তির কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
তবে দেবীদ্বার থানার
অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর জানান, দূর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে আমার থানার
উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাসানকে ঘটনাস্থলে পাঠাই, সে হাইওয়ে পুলিশকে
খবর দিয়ে এনে দূর্ঘটনায় কবলিত মোটর সাইকেল ও ময়লার ভ্যানটি বুঝিয়ে দেন।
দূর্ঘটনায় আহত মোটর সাইকেল চালক ও ভ্যান চালক দু’জনকেই স্থানীয়রা
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা দিতে নিয়ে যান। মামলা থেকে শুরু করে বাকী
কাজটি হাইওয়ে পুলিশের।