Published : Tuesday, 21 June, 2022 at 12:00 AM, Update: 21.06.2022 1:45:58 AM
নিজস্ব
প্রতিবেদক: কুমিল্লার গোমতী নদীতে দিন দিন পানি বাড়লেও তা এখনো বিপৎসীমা
অতিক্রম করেনি। তবে তা বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।
কয়েকদিনের বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে হঠাৎই খরস্রোতা রূপে ফেরা গোমতী নদীর পানি
সোমবার দুপুর পর্যন্ত বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হয়। তবে
বিকেলের পর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করে বলে জানা যায়।
এদিকে
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার দুর্গাপুর উঃ ইউনিয়নের দুর্গাপুর জেলে পাড়া
সংলগ্ন এবং আলেখারচড় সেতু সংলগ্ন গোমতী নদীর বাঁধ এলাকায় মাটি সরে যাওয়ায়
কিছুটা আশঙ্কা দেখা দিয়েছে । স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার এবং এলাকার
লোকজনের মাধ্যমে ধ্বসে পরা বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে। আমতলী থেকে পালপাড়া
ব্রীজ পর্যন্ত অংশে বাঁধের রাস্তায় ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া
হয়েছে। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন আদর্শ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান
এড মো আমিনুল ইসলাম টুটুল।
এদিকে হঠাৎ করেই গোমতীতে পানি বেড়ে যাওয়ায়
ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষক। তলিয়ে গেছে চরের ফসল। গোমতীর চরের ক্ষতিগ্রস্ত
কৃষকরা ফসলের ক্ষেত থেকে অসময়ে ফসল তুলে নিচ্ছেন। চরের ফসলি জমিতে নদীর
পানি উঠে যাওয়ায় ২৫০ শতক জমির মুলা আগাম তুলে ফেলতে হচ্ছে। ঢেঁড়শ ক্ষেতও
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লাউ- ঝিঙ্গা গাছের গোড়ায় কাদা জমে গাছ মরে যাবার
উপক্রম। আগামী দুই তিন দিন পানি থাকলে সব গাছ মরে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন
কৃষক। অপরদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত গোমতী নদীতে
পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে গোমতী নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ার খবরে
দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন এসে ভিড় করছেন নদীর পাড়ে। দীর্ঘদিন পর স্বরূপে
ফেরা গোমতীর খরস্রোতা রূপ দেখে মুগ্ধ তারা।
জানা গেছে, সোমবার দুপুর
একটায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি উচ্চতা পরিমাপে দেখা যায় ৯.৯ মিটার উচ্চতায়
গোমতী প্রবাহমান। এ উচ্চতা পরিমাপ করা হয় টিক্কারচর এলাকায়। যেখানে পানি
উন্নয়ন বোর্ড গোমতীর বিপৎসীমার একক হিসেবে ধরেছেন ১০.৭৫ সে.মি.। যদিও রাতেই
গোমতী নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে আসে বলে জানা গেছে। অপরদিকে
আগাম পূর্ভাবাসে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি
পেতে থাকবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী
প্রকোশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালীউজ্জামান। তিনি জানান সোমবার বিকেল পর্যন্ত
গোমতীর পানি বিপৎসীমার ৮৫ সে.মি. নিচে অবস্থান করছে।
এদিকে গোমতীর পানি
বৃদ্ধি পাওয়ায় চর ডুবে গেছে যার ফলে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। গোমতীর চরে
ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের ক্ষেত থেকে অসময়ে ফসল তুলে নিচ্ছেন কৃষকেরা।চরের ফসলি
জমিতে নদীর পানি উঠে যাওয়ায় ২৫০ শতক জমির মূলা আগাম তুলে ফেলতে হচ্ছে। ঢেড়শ
ক্ষেতও ক্ষতিগ্রস্ত। লাউ- ঝিঙ্গা গাছের গোড়ায় কাঁদা জমে গাছ মরে যাবার
উপক্রম। আগামী দুই তিন দিন পানি থাকলে সব গাছ মরে যাবে।
কৃষক মোঃ আক্তার
হোসেন বলেন, প্রায় ২৫০ শতক মূলা আগামা তুলে ফেলতে হবে। ৬ লাখ টাকার সবজি
বিক্রি করার কথা থাকলেও মাত্র ২ লাখ টাকায় বিক্রি করতে হবে।