হাজারও চেষ্টা করেও ব্রাজিলের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ‘বাতিল’ সেই ম্যাচটি এড়িয়ে যেতে পারছে না আর্জেন্টিনা।
ফিফার নির্দেশ, আগামী ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে খেলতে হবে সেই ম্যাচ। সে জন্য ম্যাচের ভেন্যুর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে ব্রাজিলকে নির্দেশ দেয় ফিফা।
ম্যাচটি খেলতে আগ্রহী নয় দুদলের কেউ-ই। কারণ কাতার বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলায় ম্যাচটি দুদলের কাছেই এখন গুরুত্বহীন। এদিকে বিশ্বকাপের আগে ব্রাজিলের মুখোমুখি হতে চাচ্ছিল না আর্জেন্টিনা।
কিন্তু ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কথা তো অমান্য করা অসাধ্য। যে কারণে ম্যাচটি খেলতেই হচ্ছে।
আর সেই ম্যাচের জন্য ঘরের মাঠকেই বেছে নিয়েছে ব্রাজিল।
ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনকে (সিবিএফ) জানিয়েছে, ব্রাজিলের সাও পাওলোর অ্যারেনা করিন্থিয়ান্সে হবে ম্যাচটি।
অর্থাৎ কাতার বিশ্বকাপের আগে আরও একবার লাতিন আমেরিকার দুই পরাশক্তির দ্বৈরথ উপভোগ করতে যাচ্ছে ফুটবলবিশ্ব।
এ ম্যাচের জন্য অবশ্য আরও দুটি ভেন্যু পছন্দের তালিকায় রেখেছিল সিবিএফ। তা হলো— যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ।
ইউরোপে একটি আফ্রিকান দলের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা রয়েছে ব্রাজিলের। সেখানেই আর্জেন্টিনাকে আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা নিয়েছিলেন সেলেকাওরা।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার দ্বৈরথ আয়োজনে আগ্রহী অনেক দিন ধরেই। তাদের কথাও মাথায় রাখা হয়। তবে এই দুটির কোনোটিই হলো না।
ব্রাজিল ঘরের মাঠেই আর্জেন্টিনাকে আতিথেয়তা দেবে এখন।
উল্লেখ্য, এই সাও পাওলোতে-ই গত বছর সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের অগ্নিগর্ভ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের ৭ মিনিটের মাথায় কোভিড বিধিনিষেধ ভাঙার অভিযোগে আর্জেন্টিনার চার খেলোয়াড়কে ধরতে মাঠে ঢুকে পড়েন ব্রাজিলের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। এতে বেধে যায় লংকাকাণ্ড। স্থগিত হয়ে যায় ম্যাচ।
আর্জেন্টিনা আশায় ছিল, পণ্ড ম্যাচের পুরো তিন পয়েন্ট তাদের ঝুলিতে যাবে। কিন্তু পাঁচ মাসের বেশি সময় পর গত ফেব্রুয়ারি ফিফা সেই ম্যাচ ফের আয়োজনের নির্দেশ দেয়।
পাশাপাশি মিথ্যা তথ্য দিয়ে ব্রাজিলে প্রবেশের অভিযোগে আর্জেন্টিনার চার ফুটবলার রোমেরো, এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়া ও জিওভান্নি লো সেলসোকে দুই ম্যাচ করে নিষিদ্ধ করে ফিফা।