বার্ডের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী ড. আখতার হামিদ খানের ১০৮তম জন্মবার্ষিকী
Published : Saturday, 16 July, 2022 at 12:00 AM
গতকাল ১৫ জুলাই প্রখ্যাত সমাজ বিজ্ঞানী ও বার্ডের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী ড. আখতার হামিদ খান-এর ১০৮তম জন্মবার্ষিকী। তাঁর জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বার্ডের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষে বার্ডের মহাপরিচালক মোঃ শাহজাহান ড. আখতার হামিদ খান-এর ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন এবং বার্ড জামে মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়। এছাড়া জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আগামী ১৮ জুলাই “ড. আখতার হামিদ খান: তাঁর জীবন, কর্ম, পল্লী উন্নয়ন দর্শন ও বর্তমান প্রাসঙ্গিকতা” শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করা হবে। ড. আখতার হামিদ খান পল্লী উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার সফল নেতৃত্ব দানের জন্য সমগ্র বিশ্বে অত্যন্ত সমাদৃত। বিশেষ করে পল্লী উন্নয়নের কার্যকর মডেল উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। ষাটের দশকে ড. খানের নেতৃত্বে উদ্ভাবিত পল্লী উন্নয়নে কুমিল্লা মডেল-এর জন্য বার্ড বিশ্বখ্যাতি অর্জন করে। ড. আখতার হামিদ খান ভারতের আগ্রায় ১৯১৪ সালের ১৫ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। ভারতের আগ্রা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৩৪ সালে ইংরেজি সাহিত্যে এম. এ ডিগ্রি লাভ করে তিনি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের অধীনে অত্যন্ত সম্মানজনক ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস (আইসি.এস) কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। তিনি আইসিএস শিক্ষানবীস কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৩৬-৩৮ সালে ইংল্যান্ডের ম্যাগডিলিন কলেজ, কেমব্রীজ-এ শিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯৪৩ সালের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় ঔপনিবেশিক প্রশাসনের অমানবিক মনোভাবের কারণে ১৯৪৪ সালে তিনি সিভিল সার্ভিস চাকুরী থেকে পদত্যাগ করেন এবং ভারতের আলীগড়ে একটি গ্রামে শ্রমিক ও তালা মেরামতকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং দু’বছর পর তিনি সে কাজটি ছেড়ে দেন। এরপর ১৯৪৭ সাল থেকে দিল্লীর ‘জামিয়া মিল্লিয়া’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানে তিনি শিক্ষক হিসেবে তিন বছর কাজ করেন। ১৯৫০ সালে তিনি কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৫৪-৫৫ সালে পূর্ব পাকিস্তান সরকারের ‘ভি-এইড’ কর্মসূচির পরিচালক হিসেবে ডেপুটেশনে তাঁকে নিয়োজন করা হয়। ১৯৫৮ সালে তিনি মিশিগান ষ্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য গমন করেন। সেখান থেকে ফিরে পাকিস্তান পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বর্তমানে বার্ড) এর প্রথম প্রধান নির্বাহী হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে একাডেমির পরিচালনা পর্ষদের সহ-সভাপতি হিসেবেও তিনি কয়েক বছর দায়িত্ব পালন করেন।