ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
আরও দু-একদিন তাপপ্রবাহ থাকবে
Published : Saturday, 16 July, 2022 at 12:00 AM
আকাশে মেঘের আনাগোনা থাকলেও বর্ষার মাঝামাঝিতে প্রখর রোদ আর ভ্যাপসা গরমে জনজীবনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি আরও দুদিন থাকার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে দেশের সর্বোচ্চ ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগের দিন বৃহস্পতিবার রাজশাহীতেও একই তাপমাত্রা ছিল। এটাই চলতি জুলাই মাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আর চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাংলাদেশ দেখেছে ১৫ এপ্রিল, সেদিন পারদ উঠেছিল ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, “বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। মাঝ বর্ষায় এমন অস্বস্তিকর গরম সহসা কমছে না; আরও দু-একদিন মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ থাকবে।”
মধ্য জুলাইয়ে এবার দেশের সব জায়গায় স্বাভাবিকের চেয়ে গড়ে ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করছে বলে জানালেন তিনি।
কয়েকদিন ধরে ঢাকা, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, ফেনী ও চুয়াডাঙ্গাসহ রংপুর, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
১৭ জুলাইয়ের পর বৃষ্টির বাড়ার প্রবণতার আভাস দিয়ে আবহাওয়াবিদ মনোয়ার বলেন, এপ্রিল থেকে জুনের তাপপ্রবাহ বিরাজ করে সপ্তাহ খানেকের বেশি সময়। জুলাই মাসে ‘হিটওয়েভ স্পেল’ দু-তিন দিনের বেশি দেখা যায় না।
“এবার মৃদু তাপপ্রবাহ ৫ থেকে ৬ দিন হয়ে গেল। আরও দুয়েকদিন তা অব্যাহত থাকবে।”
আষাঢ়ের শেষ সময়ে এমন আবহাওয়ার কারণ জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, কয়েকটি কারণে এমন অস্বস্তিকর গরম বিরাজ করছে। থর্মোমিটারে যা দেখাচ্ছে, তার চেয়ে ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি বলে অনুভব করছে মানুষ।
“জুলাইয়ের এ সময়ে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি রয়েছে তাপমাত্রা। ওড়িশা উপকূলে সৃষ্ট লঘুচাপ এবং এর বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত থাকায় তাপের তারতাম্যও রয়েছে। বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্প থাকলেও তুলনামুলক কম বৃষ্টি হয়েছে। টানা কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন স্থানে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে বা মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে; দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কম রয়েছে।”
তিনি বলেন, “দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যকিরণ থাকে, কোথাও কোথাও বাতাসের গতিবেগও কম। সব মিলিয়ে বেশি আর্দ্রতায় ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। দুদিন পর বৃষ্টির প্রবণতা বাড়লে এ অস্বস্তি কেটে যাবে।”
শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্নভাবে মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
থার্মোমিটারের পারদ চড়তে চড়তে যদি ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে, আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলেন। উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অফিস।