ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথ নেই চার পরিবারের
Published : Saturday, 16 July, 2022 at 12:00 AM, Update: 16.07.2022 1:38:15 AM
বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথ নেই চার পরিবারেরশাহীন আলম, দেবিদ্বার।
বাড়ি থেকে বের হওয়ার সব পথ বন্ধ। বাড়ির দুইপাশে প্রতিবেশী এক পাশে বাঁশঝাঁড়। বাড়ি থেকে বের হতে  প্রতিবেশীর উঠান ব্যবহার করায় তাঁরাও বিরক্ত হয়ে গত সপ্তাহে উঠানের রাস্তা বন্ধ করে দেন। এতে বিপাকে পড়েছে চারটি পরিবার। প্রতিবেশীরা রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় বর্তমানে ওই চার পরিবারের নারী, শিশু, বয়স্করা সামনের একটি ১৫-২০ ইঞ্চি সুরু পথ দিয়ে বের হচ্ছে। এমন অবস্থায় বর্তমানে ঘরবন্দী হয়ে আছেন তাঁরা। কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নের গুনাইঘর বাজার সংলগ্নে এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় চলছে।
শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিবেশী আবুল হোসেনের টিনের ঘর ও শাহজাহান ছিদ্দিকীর একতলা বাড়ির ১৫-২০ ইঞ্চির ফাঁকা একটি সুরুপথ দিয়ে নারী পুরুষ ও শিশুরা বের হচ্ছে। এতে করে কারও আটকে যাচ্ছে মাথা কারও আটকে যাচ্ছে শরীর।    
স্থানীয় একাধিক প্রতিবেশী জানান, এটি একটি অমানবিক কাজ। চারটি ঘরের লোকজনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এটি সমাধানের জন্য চার বার শালিস ডাকা হয়েছে। কিন্তু টিনের ঘরের মালিক আবুল হোসেন শালিসে উপস্থিত হননা। তাকে ফোন করেও কেউ আনতে পারেন না।
ভুক্তভোগী অবরুদ্ধ জহিরুল ইসলাম, হোসেনে আরা বলেন, এখানে পূর্বে রাস্তা ছিলো, শাহজাহান ছিদ্দিকী সীমানা ঘেঁষে একতলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন, এদিকে আবুল হোসেনের টিনের ঘরটিও সীমানা ঘেঁষে তোলা। আবুল হোসেন ও শাহজাহান ছিদ্দিকি এই দুইজনে কারসাজি করে আমাদের বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়েছে।  এই দুই প্রতিবেশীর কারণে আমরা দীর্ঘ পাঁচ বছর এভাবে ঘরবন্দী অবস্থায় থাকতে হচ্ছে। এতদিন অন্যের বাড়ির উঠান ব্যবহার করেছি এখন তাঁরাও উঠান ব্যবহার করতে নিষেধ করে দিয়েছেন।
জাহানারা বেগম বলেন, বাড়ি গত পাঁচ বছর কোন মেহমান আসেন না। আমার মেয়ের বিয়ের বয়স পার হয়ে যাচ্ছে। রাস্তা না থাকার কারণে কোন পাত্রপক্ষ আসতে চাইছে না। মানুষ মারা গেলে লাশ নিয়ে যে বের হবো তাও পারব না। আমরা এ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চাই।   
অভিযুক্ত শাহজাহান ছিদ্দিকী বলেন, আবুল হোসেনের কাছে আমিও আরও দুই হাত জায়গা পাই। সে ঘর ভেঙে রাস্তা করে দিবে বলে আমার কাছ থেকে আরও ২০ হাজার টাকা নিয়েছে। শালিসে আমি উপস্থিত হলেও সে উপস্থিত হয়নি। অপর অভিযুক্ত আবুল হোসেনের সাথে কয়েক দফায় যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
গুনাইঘর উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান মোকবল হোসেন মুকুল বলেন, এই বাড়িতে চারটি পরিবার বসবাস করছে। বর্তমানে তাঁরা ঘরবন্দী অবস্থায় আছে। আবুল হোসেন ও শাহজাহান ছিদ্দিকীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে শালিস বৈঠকে সমাধান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আবুল হোসেন উপস্থিত না হওয়ায় শালিস বৈঠক হয়নি। তাঁর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন তাকে পূর্বে নোটিশ করা হয়নি কেন? অথচ এনিয়ে চারবার বৈঠক ডেকেও তাকে পাওয়া যায়নি।