ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
কুমিল্লায় গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা, ঘাতক স্বামী আটক
Published : Saturday, 16 July, 2022 at 12:00 AM, Update: 16.07.2022 1:40:14 AM
কুমিল্লায় গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা, ঘাতক স্বামী আটকমোঃ হুমায়ূন কবির মানিক ||
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে সরস্বতী রানী নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত স্বামী রঞ্জিত চন্দ্র দাসকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। এর আগে ওইদিন বিকাল ৩টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী সরস্বতী রানীকে (৩০) কুপিয়ে হত্যা করে রঞ্জিত চন্দ্র দাস। নিহত গৃহবধূ সরস্বতী রানী হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল গ্রামের উমেশ চন্দ্র দাসের মেয়ে। হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘাতক স্বামীকে গ্রেফতার করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহতের স¦জন ও স্থানীয়রা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মনোহরগঞ্জ উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের লক্ষনপুর মালাকার বাড়ির ঝাল মুড়ি বিক্রেতা সুশীল চন্দ্র দাসের ছেলে রঞ্জিত চন্দ্র দাসের সঙ্গে হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল গ্রামের উমেশ চন্দ্র দাসের মেয়ে সরস্বতী রানীর গত ১২ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের ১০ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সন্তান হওয়ার পর থেকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। গত কয়েক মাস আগে সরস্বতী রানী ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করে একাই বসবাস শুরু করেন। এদিকে তার স্বামী রঞ্জিত দাস নিজ এলাকায় একটি সেলুন দোকানে কর্মরত আছেন। তাদের সন্তান দাদা-দাদীর সাথে থাকে। ঈদের ৪ দিন আগে স্বামী রঞ্জিত ঢাকায় গিয়ে  স্ত্রী সরস্বতীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে আসেন। বৃহস্পতিবার স্বজনদের সাথে দুপুরের খাবার শেষে নিজ ঘরে যায় তারা। বিকাল ৩ টার দিকে সরস্বতী রানীর শোর চিৎকারে আশেপাশে থাকা স্বজনরা গিয়ে দেখেন সরস্বতী রানী রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন। এসময় তার স্বামী রঞ্জিত চন্দ্র দাস দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন স্থানীয় চিকিৎসককে ডেকে আনলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিহতের বড় ভাই মিন্টু দাস বাদি হয়ে মনোহরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মনোহরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তপন কুমার বাকচীর নেতৃত্বে এসআই মিজানুর রহমান ও এএসআই ইমদাদুল হক অভিযান চালিয়ে উত্তর হাওলার বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে ঘাতক রঞ্জিত চন্দ্র দাসকে আটক করে। এসময় তার দেয়া তথ্যমতে তার বাড়ি সংলগ্ন পুকুর পাড়ের কাঁদামাটি থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোড়াটি উদ্ধার করা হয়। পরদিন তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
মনোহরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তপন কুমার বাকচী বলেন, ‘নিহতের বড় ভাই মিন্টু দাসের দায়েরকৃত হত্যা মামলার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আমরা অভিযান চালিয়ে নিহতের স্বামী রঞ্জিত চন্দ্র দাসকে আটক করি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছোড়াটিও উদ্ধার করা হয়েছে।’