মঞ্চটা
তৈরি হয়ে ছিল মঙ্গলবার। পরদিন অর্থাৎ বুধবার বাকি কাজটুকু সারলেন
আব্দুল্লাহ শফিক। নিজের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরিকে পরিণত করলেন ম্যাচজয়ী
ইনিংসে আর পাকিস্তান ম্যাচ জিতল ৪ উইকেটে।
গলে সিরিজের প্রথম টেস্টের
পঞ্চম দিন জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল ১২০ রান, শ্রীলঙ্কার দরকার ছিল ৭
উইকেট। শেষ দিন লঙ্কানরা আরও ৩ উইকেট তুলে নিতে সমর্থ হলেও শফিককে আউট
করতে পারেনি। ১৬০ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয় পাইয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
৩৪২
রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ২২২ রান নিয়ে শেষ দিনের খেলা শুরু
করে পাকিস্তান। শফিক ১১২ রান নিয়ে শুরু করেন। তার সঙ্গী রিজওয়ান ছিলেন ৭
রানে।
রিজওয়ানকে ৪০ রানে আউট করেন প্রবাথ জয়াসুরিয়া। অভিষিক্ত আগা
সালমানকেও ফেরান এ স্পিনার। এরপর ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বলে হাসান আলি আউট হলে,
ম্যাচে ফেরে শ্রীলঙ্কা।
তবে উইকেটের একপ্রান্ত আগলে ধরে লড়াই চালিয়ে
যান শফিক। নিজের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরিকে দেড় শ ছাড়িয়ে নিয়ে যান। ধৈর্যের
সঙ্গে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কার স্পিন আক্রমণ সামাল দেন।
পাকিস্তান জয় থেকে
১১ রান দূরে থাকার সময় বৃষ্টি নামলে খেলা আধঘণ্টার মতো বন্ধ থাকে। তবে
বৃষ্টি থামার পর খুব বেশি সময় নেয়নি সফরকারী দল।
বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে জয় পাইয়ে দেন শফিক। অপরাজিত থাকেন ১৬০ রানে। অন্য প্রান্তে মোহাম্মদ নাওয়াজ ১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এটি
ছিল পাকিস্তানের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। এর আগে ২০১৫
সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই পালেকেল্লেতে ৩৭৭ রান তাড়া করে জেতে পাকিস্তান।
লঙ্কানদের পক্ষে ১৩৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে প্রবাথ জয়াসুরিয়া ছিলেন সেরা বোলার। তবে ম্যাচসেরা হয়েছেন শফিক।
গলে
শ্রীলঙ্কা আগে ব্যাট করে ২২২ রানে অলআউট হয়। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে
সংগ্রহ ছিল ২১৮। দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কা বোর্ডে ৩৩৭ রান জমা করলে
পাকিস্তানের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৪২ রানের।