কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত করেছে এক যুবক। ধারালো বঁটির কোপে মারা গেছে গর্ভের ছেলে সন্তান। ওই গৃহবধূকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় জাবের নামে অভিযুক্ত ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাতে ভৈরব উপজেলার নিউ টাউন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত গৃহবধূর নাম মোছা. মিতু। তার বড় বোন ঝুমুর বেগম জানান, বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) মাগরিবের নামাজের পর পর পারিবারিক কলহের জের ধরে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা মিতুকে ধারালো বঁটি দিয়ে কুপিয়েছে তার স্বামী জাবের। ধারালো বঁটির একটি আঘাত পেটে লাগে, যা গর্ভে থাকা সন্তানের গায়ে গিয়ে লাগে। এতে রক্তক্ষরণ হয়ে গর্ভেই শিশুটি মারা যায়।
সন্ধ্যায় মিতুকে কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে রেখেছে- এমন খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে জানান ঝুমুর বেগম। তিনি বলেন, সেই হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে দেয়। পরে রাত দেড়টায় তাকে ঢামেকে আনা হয়।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, গর্ভের সন্তানটি মারা গেছে। আজ শুক্রবার সকালে সিজারের মাধ্যমে মৃত ছেলে সন্তানটি বের করেন ঢামেকের চিকিৎসকরা।
মিতুর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে, তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে স্থানীয়রা মিতুর স্বামী জাবেরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন বলেও জানান ঝুমুর। তিনি বলেন, মিতুর স্বামী ভাঙারি জিনিসপত্র কেনাবেচা করে। সে মাদকাসক্ত বলেও দাবি করেন তিনি।
মিতু ও জাবের দম্পতির একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। এবার গর্ভে একটি ছেলে সন্তান এসেছিল। কিন্তু ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই তাকে ধারালো বঁটি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
সত্যতা নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘মিতু আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা অবগত রয়েছে। এ ঘটনায় তার স্বামী জাবের গ্রেফতার রয়েছে।’
জাবের স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভৈরবে থাকে। আর মিতুর বাবার জিন্নত আলী পঞ্চবটি এলাকার বাসিন্দা।