৬৫ দিন পর শনিবার সাগরে নামবেন জেলেরা
Published : Saturday, 23 July, 2022 at 12:00 AM
সাগরে ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে ২৩ জুলাই মধ্যরাত থেকে। আর এতেই দীর্ঘ ৬৫ দিন পর ফের কর্মব্যস্ত হয়ে পড়ছেন ভোলার ৬৩ হাজার জেলে।
উপকূলের ঘাটে ঘাটে চলছে এখন মাছ ধরার প্রস্তুতি। কেউ জাল বুনছেন, কেউ বা জাল, ফিশিং বোর্ট প্রস্তুত করছেন।
ইলিশ ধরাকে কেন্দ্র করে একদিন পরেই সরগরম হয়ে উঠবে উপকূলের মাছ ঘাটগুলো। চিরচেনা রূপে ফিরবে মাছের আড়তগুলো। জেলেরাও সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে আশা করছেন।
ভোলার উপকূলীয় মৎস্যঘাট ঘুরে জানা গেছে, শুধু সাগরে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন ভোলায় এমন নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৬৩ হাজার ৯৫৪ জন। যারা গত ২০ মে থেকে বেকার দিন পার করে আসছেন। ৬৫ দিনের দীর্ঘ অপেক্ষার পর ফের কর্মব্যস্ত হয়ে পড়বেন জেলেরা।
তাই আগে থেকেই জাল, ফিশিং বোর্ডসহ নানা উপকরণ নিয়ে সাগরে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিন তারা। অভাব অনাটনের পর ঘরে ফিরবে স্বচ্ছলতা এমনটাই মনে করছেন জেলে পাড়ার বাসিন্দারা।
দৌলখানের চরপাতা গ্রামের জেলে বধূ মিনারা ও আমেনা বলেন, মাছ ধরা বন্ধ থাকায় এতোদিন সন্তানদের নিয়ে কষ্টে দিন কাটাইছি, এখন মাছ ধরা শুরু হলে আমাদের কষ্ট দূর হবে।
এদিকে জেলেরা এত দিন ধার দেনা করে দিন কাটিয়েছেন। এখন সংকট কাটিয়ে নতুন করে ঘুরে দাড়াবেন এমন স্বপ্ন তাদের চোঁখ-মুখে।
পাতার খাল এলাকার জেলে সালাউদ্দিন, হেলাল ও মাইনুদ্দিন বলেন, আমরা এত দিন সাগরে যাইনি। শনিবার থেকে মাছ ধরা শুরু হবে। ১৯ জন জেলে নিয়ে আমরা মাছ শিকারে যাবো।
চরফ্যাশনের স্লুইজ ঘাট এলাকার জেলে ইব্রাহিম বলেন, জাল প্রস্তুত করেছি, ট্রলার মেরামত করেছি এখন বাজার করবো। শনিবার রাতেই মাছ শিকারে নেমে পড়বো।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেন, সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকায় এ বছর ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা সময়ে আমরা নিবন্ধিত প্রত্যেক জেলেকে ৮৬ কেজি করে চিল দিয়েছি। ইতমধ্যে ৫০ কেজি করে চিল বিতরণ সম্পন্ন হয়ে বাকি চালও বিতরণ করা হবে।
ইলিশসহ ৪৭৫ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাগরে ৬৫ দিনের জন্য মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।