ভারত থেকে আমদানির ফলে একদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি বাজারে কাঁচামরিচের দাম কেজিতে কমেছে প্রকার ভেদে ৮০-৯০ টাকা। বর্তমানে হিলির আড়তে ভারতীয় মরিচ ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে আর খোলা বাজারে ১৫০-১৬০ টাকা। দেশীয় মরিচ ১৭০ টাকা রাখছে। আমদানি বাড়লে দাম আরও কমবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।
রোববার (৭ আগস্ট) দুপুরে হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, একদিন আগে বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হলেও আজ তা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬৭০ টাকায়। প্রতি কেজিতে ৮০-৯০ টাকা কমেছে।
কাস্টমসের তথ্যমতে, শনিবার হিলি স্থলবন্দরে ভারতীয় ৯টি ট্রাকে ৫৮ টন ৮৬০ কেজি কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে। রোববার দুপুরে কাঁচামরিচ বোঝাই দুটি ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেছে।
রিকশাচালক সাবেদ আলী বলেন, ‘বাজারের ব্যবসায়ীরা হামার (গরীব) মানুষের কপাল নিয়ে খেলা করছে। একদিন কমলে দশদিন বাড়ে। তোমরা যাই কও পানি নিচের দিকেই গড়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুদিন আগে বাজারে ২০ টাকার নিচে মরিচ দিতেই চাইতো না ব্যবসায়ীরা। এর কম দিলে নাকি তাদের লস হবে। আজ সকালে বাজার থেকে এক পোয়া মচির নিলাম ৩৮ টাকায়। দাম কমে আমাদের জন্য ভালো হয়েছে।’
বাজারের কাঁচামরিচ বিক্রেতা মিথুন হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ভারত থেকে এ বন্দর দিয়ে মরিচ আমদানি বন্ধ থাকায় দাম হঠাৎ বেড়ে গিয়েছিল। শনিবার থেকে ভারতীয় মরিচ আমদানি হওয়ায় একদিনের ব্যবধানে দাম কমেছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। মরিচ আসা অব্যাহত থাকলে এর দাম আরও কমে যাবে।’
হিলি স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানি কারক শিপিং ট্রেডার্স স্বত্বাধিকারী জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, অনেক জল্পনা কল্পনার পর শনিবার থেকে এ বন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। বাজারে মরিচের দামের যে প্রভাব এরই মধ্যে তা কমতে শুরু করেছে। মরিচগুলো ভারতের বিহার রাজ্যে থেকে আনা হচ্ছে। যেহেতু কাঁচামরিচ একটি পচনশীল পণ্য তাই এর দাম সরবরাহ বাড়লে কমে আবার সরবরাহ না থাকলে বাড়ে।