রণবীর ঘোষ কিংকর ||
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত খ্যাতনামা চিকিৎসক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. প্রাণ গোপাল দত্ত এমপি বলেছেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশে থেকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব যে ত্যাগ ও সাহসের দৃষ্টান্ত রেখেছে, তা দেশ-বিদেশের বহু নারীর জন্য অনুসরণীয়।”
সোমবার (৮ আগষ্ট) উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর ৯২তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মহীয়সী নারী বঙ্গ মাতার জীবন থেকে শুধু আমাদের দেশেরেই নয় পৃথিবীর অন্যান্য দেশের নারীরাও এই শিক্ষা নিতে পারবেন। তিনি কীভাবে একটি দেশ ও দেশের মানুষের জন্য জীবনের সবকিছু ত্যাগ করেছিলেন। আমাদের দেশের মেয়েরা শুধু নয়, পৃথিবীর অনেক দেশের মেয়েরাই তাঁর জীবনের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করতে পারে।”
স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত খ্যাতনামা চিকিৎসক প্রাণ গোপাল দত্ত আরও বলেন, রেনু শব্দের অর্থ- পরমানু-সৌন্দর্য প্রেস এ্যটমের সৌন্দর্য বা ধুলাবালি। পরাগরেনু- ফুল বা শস্যের পরাগ রেনু। আমরা জানি বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে এ্যটমের ক্ষমতা কি? আমাদের বঙ্গমাতা রেনু ছিলেন তেমনি শক্তিশালী। যে কোন পুরুষের কীর্তিমান হবার পেছনে একজন মহীয়ষী নারীর অবদান অনেক বেশী এবং একক ভাবে বঙ্গমাতার ক্ষেত্রে এটা শতভাগ প্রযোজ্য।
৮ বছর বয়সে বঙ্গবন্ধুর সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কত ত্যাগী, কত মহীয়সী, কত ধর্মপ্রান, কত আত্মবিশ্বাসী হলে বালিকা রেনু স্বগর্বে কিশোরী বয়সে পৌঁছান, সেখান থেকে নারী, আমৃত্যু নারী হয়ে স্বামীর সাথে আত্মহুতি দিলেন। হানাদাররা অতটাই অমুসলিম, প্রানহীন ছিলেন, জীবন্ত নারকীয় কীট ছিলেন, তারা বঙ্গমাতার দেহটা বঙ্গবন্ধুর সাথে টুঙ্গীপাড়া পাঠিয়ে দিতে পারতেন। আমাদের রীতি আছে স্বামীর কবরের পাশে স্ত্রীর কবর রাখা হয়। এ বাঙ্গালীর অমোঘনীতি। তাতেও তাদের ভয় ছিল।
উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে সকালে দবঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর প্রকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জিয়াউল হক মীর এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তপন বকসী। অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে হাবিবা মজুমদার, ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়া আক্তার, উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাবেক কমান্ডার হাজী আবদুল মালেক, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা নাছিমা আক্তার, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সালমা ইয়াসমিন, বাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আহসান হাবীব ভূঁইয়া। পরে সাতজন অসহায় নারীর মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।