Published : Thursday, 11 August, 2022 at 12:00 AM, Update: 11.08.2022 1:29:19 AM
ইসমাইল নয়ন।।
পাট বাংলাদেশের সোনালী আশ। এক সময়ের অর্থকারী ফসল ছিল। পাট চাষ করে কৃষকের সংসারে আসত সচ্ছলতা। কিন্তু এবছর পাট চাষ করে ক্ষতির আশঙ্কায় কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার কৃষকেরা। বিভিন্ন পাট চাষির সাথে কথা বলে জানা যায়, পাট চাষের জন্য এবছর আবহাওয়া পুরোপুরি অনুকূলে ছিল না। তাছাড়া রয়েছে শ্রমিকের মূল্যবৃদ্ধি এবং সার ও কিটনাশকের দাম বৃদ্ধির এবং ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার আশঙ্কা।
সরেজমিন ঘুরে কথা হয় ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধপপুর ইউনিয়নের কান্দুঘর গ্রামের পাট চাষী মোঃ হানিফ মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, পাট চাষে অনেক শ্রম দিতে হয়। উৎপাদন খরচও বেশি। বিক্রি করতে গেলে পাওয়া যায়না ন্যায্য দাম। তবুও এবছর ২১ শতক জমিতে পাট চাষ কেরেছি। বীজ বপন থেকে শুরু করে পাটের আঁশ ছাড়িয়ে শুকানো পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার টাকা খরচ হবে।
আর এবছর বর্ষায় জমিতে পানি উঠার কারণে পাট গাছের নিচের অংশ পঁচে যায়। যার কারণে প্রায় ১ মাস আগে পাটগাছ কেটে ফেলতে হয়েছে। ফসল ভাল হবেনা। আমার ২১ শতক জমিতে ৩ মন পাট পেতে পারি। এখন বাজারে পাট ২২০০ টাকা মন। দাম বৃদ্ধি নাহলে লোকশান গুনতে হবে।
অপর আরেক পাট চাষী ৭০ বছর বয়সী আবদুল মালেক বলেন, আগের চেয়ে পাট চাষের উৎপাদন খরচ অনেক বেঁড়েছে। এবছর প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ১ম বার জমিতে বীজ নষ্ট হওয়ায় ২য় বার বীজবপন করতে হয়েছে । যার কারণে খরচ বেশি হয়েছে। ঐ তুলনায় বাজারে পাটের দাম অনেক কম । এ বছর ১০ শতক জমিতে পাটের আবাদ করেছি। দাম ভালো পেলে আগামী বছর আরও বেশি পাটের আবাদ করব। আর লোকসান হলে বিকল্প ফসল চাষ করব।
এব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার উপ-সহকারী কমকর্তা মোঃ তফাজ্জল হোসেন বলেন, এবছর প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে অনেক কৃষক ২ বার পাটের বীজবপন করতে হয়েছে এবং পানিতে পাট গাছের নিচের অংশ পঁচে যাওয়ায় আগাম কর্তণ করতে হয়েছে। বর্তমান দামে পাট বিক্রি করলে কৃষকের কম লাভ হবে কিন্তু লোকসান হবেনা।