বছরের শেষে বিদ্যুৎ-জ্বালানির মূল্য সহনীয় হতে পারে: নসরুল হামিদ
Published : Wednesday, 17 August, 2022 at 12:00 AM
এ বছরের শেষ নাগাদ বৈশ্বিক পরিস্থিতি ভালো হলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর অবদান’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছিল, সেসব সামরিক শাসকরা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের দিকে কোনো নজর দেয়নি। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসলেন, তখন থেকেই ভঙ্গুর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করলো। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেই বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দিলেন। ফলে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতও এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে অবদান রাখতে পারছে।
বর্তমান সংকটের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে যে ঊর্ধ্বমুখী মূল্য তার কারণে বাংলাদেশও ভুক্তভোগী। তবে এটা সাময়িক। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতে শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে।
১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট শেল অয়েল কোম্পানির কাছ থেকে ৫টি গ্যাসক্ষেত্র কিনে দেশীয় কোম্পানির কাছে হস্তান্তর প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক বিকাশে এবং জ্বালানির জোগানের ক্ষেত্রে এই গ্যাসক্ষেত্রগুলো বিশাল অবদান রেখে চলেছে। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৬ অনুচ্ছেদে ‘গ্রামাঞ্চলে বৈদ্যুতীকরণের ব্যবস্থা’ সন্নিবেশ করে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্যুৎ খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে নতুন এক অগ্রযাত্রা শুরু করেছিলেন। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহের প্রস্তুতি বাংলাদেশের ভালোই ছিল। ধৈর্য ধরে আমাদের সাথে থাকুন। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান, বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান, বিপিসি চেয়ারম্যান এ বি আম আজাদ, পিডিবির চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান ও পাওয়ার সেলের ডিজি মোহাম্মদ হোসাইনসহ দপ্তরগুলোর প্রধানরা সংযুক্ত ছিলেন।