ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে মাদরাসা শিক্ষার্থীকে বলৎকারের অভিযোগ
Published : Wednesday, 24 August, 2022 at 12:00 AM, Update: 24.08.2022 12:34:20 AM
মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে মাদরাসা শিক্ষার্থীকে বলৎকারের অভিযোগশাহীন আলম, দেবিদ্বার ||
মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে এক মাদরাসা শিশু শিক্ষার্থীকে বলৎকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই শিশু শিক্ষার্থীর বাবা মো. গিয়াস উদ্দিন এক মাদরাসা শিক্ষককে অভিযুক্ত করে দেবিদ্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। এর আগে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মাদরাসা শিক্ষক মো. ইব্রাহীম খলিলকে মুরাদনগর উপজেলার উড়িশ্বর গ্রামের শ্বশুর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন পুলিশ। অভিযুক্ত ইব্রাহীম খলিল(২৮)  দেবিদ্বার উপজেলার উত্তর গুনাইঘর ইউনিয়নের বাঙ্গুরী গ্রামের মৃত অহিদ আলীর ছেলে।  
ভুক্তভোগী মাদরাসা শিক্ষার্থী মাদরাসার পড়ুয়া আরও চার শিক্ষার্থীর নাম বলে জানায়, গত দেড় বছর ধরে সে  আমাদের সাথে এ কাজ করে আসছে। আমরা যদি বলে দেব বলতাম সে, গামছা দিয়ে ফ্যানে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করবে বলে আমাদের সামনে নাটক করত। আমাদের কোরআন শপথ করিয়ে কাউকে না জানাতে বলছে। গত রমজান মাসেও সে এ কাজ করেছে। আমরা অসুস্থ হয়ে পড়লে সে আমাদের নাপা ট্যাবলেট খাওয়াত। ভুক্তভোগী অপর এক শিক্ষার্থীর সাথে যোগাযোগ করলে সে জানায়, ইব্রাহীম  হুজুর প্রতি রাতে আমাদের সাথে খারাপ কাজ করত। আমাদেরকে বিভিন্ন ভয় দেখাত, বলত আমরা নাকি হাফেজ হতে পারব না।     
মামলার বাদি মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, দেবিদ্বার পৌর এলাকার ছোট আলমপুর চৌমুহনীতে তারতীলুল কোরআন হেফজ মাদরাসায় গত দুই বছর ধরে ও শিক্ষার্থী পড়ে আসছিলো। পড়ে গত ১৭ আগস্ট  ছেলের চোখে আঘাতের চিহ্ন দেখে জিজ্ঞাসা করি কিভাবে হয়েছে, ছেলে জানায়, সে আর হজুরের কাছে পড়তে যাবে না,  কারণ জানতে চাইলে সে জানায় হজুর প্রতি রাতে আমাদের কয়েকজনের সাথে খারাপ খারাপ কাজ করে। তিনি মোবাইল থেকে বিভিন্ন সময়ে নির্যাতনের কিছু ছবি দেখিয়ে  আরও বলেন, এই দেখেন, হজুুর কিভাবে মারধর ও বেত্রাঘাত করেছে, একজন সুস্থ মানুষ কখনো এভাবে মানুষ মারতে পারে না, এত কিছুর পরও আমরা এতদিন চুপ ছিলাম। কিন্তু আমার ছেলের সাথে এত বড় অন্যায় করেছে যা আমরা চুপ থাকতে পারিনি তাই আইনের আশ্রয় নিয়েছি। থানা হাজত থেকে অভিযুক্ত ইব্রাহীম খলিল বলেন, আমার মাথায় সমস্যা, মাঝে মাঝে আমি সেন্সলেন্স হয়ে যাই। কখন কি করি নিজেও জানি না।
 এ ব্যাপারে দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক দেবিদ্বার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর পর অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীকে ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।