পুলিশের হেফাজতে এক নারীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিক্ষোভে উত্তাল ইরান। মূলত সঠিক নিয়মে হিজাব না পরার অভিযোগে গ্রেফারের পর পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় মাশা আমিনি নামে এক তরুণীর মৃত্যু থেকে এই বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। বিষয়টি মুখ খুলেছেন নোবেল বিজয়ী পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত মালালা ইউসুফজাই। খবর জিও টিভির।
তিনি পুলিশি নির্যাতনে মাশা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, একজন নারী কী ধরনের পোশাক পরবেন বা পরবেন না সে ব্যাপারে তার নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে। আমি আগেই বলেছি, যদি কেউ আমাকে আমার মাথা ঢেকে রাখতে বাধ্য করে, আমি প্রতিবাদ করব। আবার যদি কেউ আমাকে আমার স্কার্ফ খুলতে বাধ্য করে, তাহলেও আমি প্রতিবাদ করব।
এদিকে, বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের চালানো গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ জন। একইসঙ্গে বিক্ষোভকারীদের রোষের মুখে পড়ে নিহত হয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাঁচ সদস্য।
অসলোভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন বলছে, সরকারিভাবে ১৭ জন নিহতের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু নিহতের প্রকৃত সংখ্যা তিন গুণ বেশি। নিহতদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর পাঁচ সদস্য রয়েছে। ইরান সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী বিক্ষোভ সামাল দেয়ার সময় পুলিশের গুলিতে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সরকারের দেওয়া তথ্য ভুয়া বলে অভিযোগ উঠেছে।
মানবাধিকার সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অন্ততপক্ষে ইরানের ৮০টি শহরে মানবাধিকার এবং মৌলিক অধিকারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ। ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, ইরানের রাজধানী তেহরানের জ্বলন্ত ছবি। সন্ধ্যা নামার পরই তেহরানের বিভিন্ন এলাকায় জমায়েত হচ্ছে বিক্ষোভকারীরা।