Published : Monday, 24 October, 2022 at 12:00 AM, Update: 24.10.2022 1:30:49 AM

ইসমাইল নয়ন।।
কুমিল্লার
ব্রাহ্মণপাড়ায় দুই নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণের চেষ্টা ও ধর্ষণের অভিযোগে
কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের ২ নং আদালতে গত ১৭
অক্টোবর পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার নাল্লা গ্রামের মোঃ
এনামুল হক বাদী হয়ে তিন জনকে অভিযুক্ত করে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে একটি
মামলা করে। অপরদিকে আরেক ভিকটিমের মা হোসনেয়ারা বাদী হয়ে দুই জনকে আসামি
করে একই আদালতে একটি ধর্ষণের মামলা করে।
অভিযোগ ও ভুক্তভোগীদের সূত্রে
জানা গেছে, গত ১১ অক্টোবর সকাল নয়টার দিকে গোপালনগর ইসলামিয়া দাখিল
মাদরাসায় যাওয়ার পথে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দুলালপুর গ্রামের ফরিদ সরকারের
ছেলে দিপু, একই গ্রামের আবুল কালাম এর মেয়ের জামাই হাসান ও একই গ্রামের
আবুল কালাম এর ছেলে হানিফ মিলে সংঘবদ্ধভাবে মামলার বাদী এনামুল হকের
ভাগিনীকে আসামিরা সিএনজি অটোরিকশা যোগে উঠিয়ে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায়।
ভিকটিমকে একাধিকবার ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তারা একইদিন রাত ১১ টায়
ভিকটিমকে চেতনানাশক ঔষধ সেবন করিয়ে চট্টগ্রামমুখী রেলগাড়ীতে উঠিয়ে দেয়।
এব্যাপার ভিকটিমের মামা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দুলালপুর গ্রামের মোঃ আবুল
কাশেমের ছেলে মোঃ এনামুল হক বাদী হয়ে কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন
ট্রাইবুনাল ২ নং আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন
আছে।
অপরদিকে ১১ অক্টোবর সকাল নয়টায় সময় গোপালনগর ইসলামিয়া দাখিল
মাদরাসায় যাওয়ার পথে শান্তি রোড নামক স্থান থেকে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার
নাল্লা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে ব্রাহ্মণপাড়া
উপজেলার গোপাল নগর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে রুবেল ও দুলালপুর
গ্রামের আবুল কালামের জামাই জামাই হাসানকে অভিযুক্ত করে কুমিল্লা নারী ও
শিশু দমন ট্রাইবুনালের ২নং আদালতে ধর্ষণের অভিযোগে ভিকটিমের মা হোসনেয়ারা
একটি ধর্ষণের অভিযোগ তুলে একটি মামলা করে। এ ব্যপারে ভিকটিমের মা হোসনেয়ারা
জানান, আমার মেয়ে মাদরাসায় আসা-যাওয়ার পথে আসামীগণ আমার মেয়েকে উত্যক্ত
করতো। একপর্যায়ে গত ১১ অক্টোবর আসামিগণ আমার মেয়েকে ফুসলাইয়া জামাই হাসানের
বাসায় নিয়া আমার মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ১ নং আসামি জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
পরে আবারও আমার মেয়েকে চেতনানাশক ঔষধ সেবন করিয়ে কুমিল্লার একটি আবাসিক
হোটেলে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে আমার মেয়েকে
চট্টগ্রামগামী একটি রেলগাড়ীতে উঠিয়ে দেয়।
এ ব্যপারে ভিকটিমের মা
হোসনেয়ারা বাদী হয়ে কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের ২নং
আদালতে একটি ধর্ষণের অভিযোগ তুলে একটি মামলা দায়ের করে। মামলাটি তদন্তাধীন
আছে।