বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ঝড়ে ৮০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ সেবার বাইরে চলে যায়। এরমধ্যে ৭০ ভাগের সরবরাহ আজ মঙ্গলবার বিকালের মধ্যে স্বাভাবিক হবে। বাকিদের সরবরাহ স্বাভাবিক করতে আগামীকাল (বুধবার) দুপুর পর্যন্ত সময় লাগবে।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে এক তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। এই সময় বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় গাছপালার ডাল ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে, তার ছিঁড়ে বৈদ্যুতিক লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। লাইন মেরামতে বিদ্যুৎকর্মীরা সর্বাত্মক কাজ করছেন।
তিনি বলেন, কোথাও বৈদ্যুতিক লাইনে ভাঙা গাছপালা কিংবা তার ছিঁড়ে পড়ার তথ্য থাকলে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ অফিসকে অবহিত করার জন্য সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। আশা করছি সবার সহযোগিতায় দ্রুততম সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সারা দেশে ৮০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন। মঙ্গলবার বিকালের মধ্যে ৭০ শতাংশ এবং বুধবারের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুৎ কানেক্টিভিটির আওতায় চলে আসবে। এই তথ্য উল্লেখ করে নসরুল হামিদ জানান, বিতরণ সংস্থা আরইবি, বিপিডিপি, ওজোপাডিকো ও নেসকো’র গ্রাহকরা রয়েছেন এর মধ্যে। লাইন ঠিক না করা পর্যন্ত সেসব এলাকায় বিদ্যুৎ দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, বিতরণ সংস্থার কর্মীরা দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা কাজ করছেন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ভোলা, পটুয়াখালী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, নোয়াখালী ও চট্টগ্রামে। বেশ কিছু উপকেন্দ্রে পানি উঠে গেছে। ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।