ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
উচ্চ সংক্রমণ ঝুঁকিতে কুমিল্লা
আরো কঠোর হচ্ছে প্রশাসন ॥ ‘সংক্রমণ কমিয়ে আনা হবে শীঘ্রই’
Published : Wednesday, 31 March, 2021 at 12:00 AM, Update: 31.03.2021 1:10:27 AM

উচ্চ সংক্রমণ ঝুঁকিতে কুমিল্লাতানভীর দিপু:
বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য মতে, নভেল করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে উচ্চ সংক্রমনের ঝুঁকিতে থাকা ২৯টি জেলার মধ্যে একটি কুমিল্লা। এই তালিকায় আছে কুমিল্লার পার্শ্ববর্তী জেলা ফেণী, চাঁদপুর, নোয়াখালী, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকাসহ অন্যান্য জেলা। গত সোমবার ২৯ মার্চ এই তথ্য জানানো হয়। গত ১৩ মার্চ থেকে এসব জেলায় করোনার সংক্রমণ পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে এই তথ্য পাওয়া যায় বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে জানানো হয়। উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবারের ফলাফলে ৩৯ জন নতুন শনাক্তের মধ্যে ৩৬ জনই কুমিল্লা নগরীর বাসিন্দা। সোমবারের ৪৯ জনের মধ্যে ৩৩ জন নগরীর। রবিবার শনাক্তের ৪১ জনের মধ্যে ১৭ জন সিটির। গত ৫দিনে কুমিল্লায় করোনা আক্রান্ত ২২৬ জন, মৃত্যুবরন করেছেন ৪ জন। গত বছর করোনা সংক্রমনের প্রথম ঢেউতেও অনেক সময় ধরে কুমিল্লার অবস্থান দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে ছিলো।
উচ্চ সংক্রমনে কুমিল্লার অবস্থান নিয়ে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান কুমিল্লার কাগজকে জানান, কুমিল্লায় করোনা প্রতিরোধে আরো কঠোর হচ্ছে প্রশাসন। দ্রুতই এই সংক্রমণ কমে আসবে বলে আশা করছি। সরকারের দেয়া ১৮ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে স্বাস্থ্যবিভাগ ও জেলা প্রশাসনের একাধিক দল। রাত ৯টার মধ্যে দোকানপাট বন্ধের যে নির্দেশনা তা আরো এগিয়ে নিয়ে আসারও চিন্তা ভাবনা চলছে। মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্ট চলমান আছে। তবে সবচেয়ে জরুরী কথা হলো- ব্যাক্তিগত ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, সচেতন হতে হবে।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন কুমিল্লার কাগজকে জানান, করোনার উচ্চ সংক্রমনে কুমিল্লার অবস্থান এটা মাথায় রেখেই আমরা কাজ করছি। সরকারের ১৮দফা অবশ্যই মানতে হবে। জন সমাগম রোধে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ইতিমধ্যে জনসচেতনতামূলক মাইকিং শুরু করা হয়েছে। জেলাপ্রশাসন মোবাইল কোর্ট চালু রেখেছে। যারা আক্রান্ত হচ্ছে তাদের আশেপাশের মানুষ জনের ‘কনটাক্ট ট্রেসিং’ করা হচ্ছে।  
সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, কুমিল্লা জেলায় এপর্যন্ত সর্বমোট ৯ হাজার ৭শ ৯২ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৩০ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে কুমিল্লা জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা ২৮৭ জন। করোনার প্রথম ঢেউতেও কুমিল্লার অবস্থান বেশ কিছু সময়ের জন্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে ছিলো। করোনা প্রতিরোধে প্রাবসীদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত, জনসমাগম রোধ, আবশ্যক মাস্ক ব্যবহার এবং প্রতিটি হাসপাতালে প্রতিরোধক ব্যবস্থা নেয়ায় কমে আসে সংক্রমণ। এছাড়াও সেসময় জাতীয় নির্দেশনা অনুসারে রেডজোন-ইয়েলো জোন-গ্রীন জোন ভাগ করে লক ডাইন করা হয়। সংক্রমিত এলাকাগুলো থেকে সুস্থ এলাকাগুলোকে আলাদা করে সংক্রমণ কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্যবিভাগ।