মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে সরকার উৎখাত চায় ইসরায়েল। এমন মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাড এরদান। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন এক্সামিনার।
গিলাড এরদান ইসরায়েলের আর্মি রেডিওকে বলেন, তার দেশ চূড়ান্তভাবে ইরানে সরকার উৎখাত চায়। দেশটির শাসন ব্যবস্থায় পরিবর্তন দেখতে চায়।
দুই দেশের মধ্যে নানা বিষয়ে বিরোধ থাকলেও সম্প্রতি ওমান উপকূলে ইসরায়েলি একটি তেলের ট্যাংকারে হামলার ঘটনায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে শুরু করে। ওই হামলার জন্য তেহরানকে দায়ী করে ইসরায়েল ও তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যেই এ অঞ্চলের আরেক দেশ লেবানন থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলার অভিযোগ তুলে দেশটিতে বিমান হামলা চালায় তেল আবিব।
গিলাড এরদান ইসরায়েলের আর্মি রেডিওকে বলেন, গত দুই দিন ধরে উভয় পক্ষের সঙ্গে সংঘাত বেড়েছে। এটি একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক পরিস্থিতি।
ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও বলিষ্ঠ পদক্ষেপ চায় বলেও মন্তব্য করেন গিলাড এরদান।
এদিকে শত্রুর যেকোনো হামলার বিরুদ্ধে শক্ত ও দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ইরান। দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)-এর অ্যারোস্পেস ফোর্সের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ইরান ইতোমধ্যেই সব ধরনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এবং তাকে নতুন করে পরীক্ষা করে দেখার প্রয়োজন নেই। শত্রুরা হামলা চালানোর মতো কোনও হঠকারিতা দেখালে তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।
আমির আলী হাজিজাদেহ বলেন, ইহুদিবাদী ইসরায়েল এবং আমেরিকা ইরানকে এরইমধ্যে বিভিন্ন সময় পরখ করে দেখেছে। তারা ভালোভাবেই জানে যে, এসবের প্রতিউত্তরে তেহরান কিভাবে জবাব দিয়েছে। শত্রুদের জেনে রাখা উচিত যে আমাদের শক্তি আছে এবং সেই শক্তির যথাযথ ব্যবহারের বিষয়ে প্রবল ইচ্ছাশক্তিও রয়েছে। তাই শত্রুর যেকোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আমরা অত্যন্ত শক্ত জবাব দেবো এবং এক্ষেত্রে তারা কোনও ধরনের ভুল করার সুযোগ পাবে না। সূত্র: ওয়াশিংটন এক্সামিনার, পার্স টুডে।