পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের কুশীলবরা এখনও সক্রিয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মঞ্চের খুনিরা বিচারের মুখোমুখি হয়েছে। ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে। কিন্তু এখনো কয়েকজন বিদেশে পলাতক। তাদের ফিরিয়ে আনার সর্বাত্মক কূটনৈতিক প্রয়াস অব্যাহত আছে।
আজ মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) আওয়ামী লীগের মুখপত্র উত্তোরণ আয়োজিত ‘শোকাবহ আগস্ট - ইতিহাসের কালো অধ্যায়’ শীর্ষক ওয়েবিনারে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড শুধু বঙ্গবন্ধুর পরিবারের উপর নয়, বহুকষ্টে অর্জিত মুক্তিযুদ্ধের উপর নৃশংসতম হামলা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধেই পরিচালিত হয়েছিল ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড। দেশকে নেতৃত্ব শূন্য করতে ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় ৩ নভেম্বর জেলের অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতা ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল। এ সকল ষড়যন্ত্র অভিন্ন ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মঞ্চের খুনিদের পেছনে যারা নেপথ্যের ষড়যন্ত্রের নায়ক, তাদের আজ খুঁজে বের করা দরকার। এ সকল ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে তাদের স্বরূপ উন্মোচন করতে হবে আগামী প্রজন্মের জন্য। ইতিহাস কোনও স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষুকে পরোয়া করে না।
বাংলাদেশ থেকে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করার জন্য জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা আবশ্যক হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্র, মূল্যবোধ ও আদর্শকে একে একে আক্রমণ করা হচ্ছে। তাই ষড়যন্ত্রের রাজনীতিকে চিরতরে নির্মূল করতে হবে। এদেশে যারা রক্তাক্ত আগস্ট ঘটিয়েছিল এবং এর বেনিফিশিয়ারি ছিল প্রকৃতির আদালতেই তাদের বিচার সম্পন্ন হয়েছে।
উত্তোরণের সম্পাদক ড. নূহ-উল-আলম লেনিনের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, কথা সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন এবং দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।