https://www.banglatribune.com/c/661970 যখন কেউ জঙ্গি বা উগ্রবাদী হয় তখন সে
প্রথম দিনেই জঙ্গি হয়ে যায় না। পাঁচ ধাপ শেষ করে একজন ব্যক্তি পূর্ণ
জঙ্গিতে পরিণত হয়। প্রথম ধাপে তারা ওই জঙ্গি সংগঠনের প্রতি সহমর্মিতা
দেখায়। দ্বিতীয় ধাপে সে হয়ে যায় ওই সংগঠনের সমর্থক। তারপর সে হয়
অ্যাক্টিভিস্ট। এ পর্যায়ে সে বিভিন্ন কার্যকলাপে অংশ নেয়। চাঁদা আদায় করে,
দাওয়াত দেয়। তারপর সে হয় এক্সট্রিমিস্ট। নিজের ভেতর উগ্রবাদ ধারণ করে।
শেষ পর্যায়ে গিয়ে সে পরিবার-জগত থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে নেয়। সে
অস্বাভাবিক একটা জীবন যাপন শুরু করে। বায়াত গ্রহণ করে। আর যখন বায়াত
গ্রহণ করে তারপর তারা জঙ্গিবাদে লিপ্ত হয়ে যায়।
প্রথম
তিন পর্যায়, সংগঠনের প্রতি সহমর্মিতা, সমর্থন, এবং অ্যাক্টিভিস্ট যারা
আছেন। তাদের নিয়ে কাজ করছে র্যাব। তাদেরকে স্বাভাবিক জীবন যাপনের ফেরত
আনার চেষ্টা করছে।২০১৬ সালে রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজানে নৃশংস
জঙ্গি হামলার ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত র্যাবের কাছে ৭ জঙ্গি আত্মসমর্পণ
করেছেন। মূলত সরকারের পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় র্যাব তাদের
কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনে। পাইলট প্রকল্প হিসেবে
এখানে সফলতা পাওয়ার পর এটি স্থায়ী রূপ দিতে কাজ করছে র্যাব। সমাজে
পুনর্বাসিত করার জন্য তাদের ডি-রেডিক্যালাইজেশন করবে। আর তার জন্য র্যাব
সদস্য, শিক্ষক, হুজুরদের নিয়ে একটা টিমও গঠন করেছে এই এলিট ফোর্স।র্যাবের
অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার বলেন,
আমরা জঙ্গিদের ধ্বংস করতে পারবো। সামর্থ্য নষ্ট করতে পারবো। কিন্তু তার
আদর্শ তো ব্রেনে। সেটা কী করবো? কারও ভেতর যদি ভুল কোনও আইডোলজি থাকে সেটা
শুধু যদি বন্দুক দিয়ে মোকাবিলা করা যায় না। এতে আইডোলজি কিন্তু মরবে না।
শুধু বন্দুক, অপারেশন এগুলো কাউন্টার টেররিজমের একটা অংশ। সম্পূর্ণ
প্রক্রিয়া নয়।তাই ‘নব দিগন্তে প্রত্যাবর্তন’ এই স্লোগানের মধ্যে
দিয়ে র্যাব সদর দফতরের আজাদ মেমোরিয়াল হলে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান হতে
যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন একাডেমিশিয়ান, ইসলামি স্কলার, সাংস্কৃতিক
ব্যক্তিত্বসহ বিশিষ্ট নাগরিকেরা। প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত
থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। থাকবেন পুলিশ
মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।